Advertisement
Advertisement

উদ্‌ঘাটিত ‘মার্কারি রহস্য’, চিত্রনাট্যেই বাজিমাত ‘সাগরদ্বীপে যকের ধন’-এর

বাড়তি হাততালি পাবেন কাঞ্চন মল্লিক।

Read the review of Sayantan Ghosal's movie Sagardwipey Jawker Dhan
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:December 7, 2019 1:04 pm
  • Updated:December 11, 2019 2:15 pm

চারুবাক: পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল প্রথম ছবিতেই বুদ্ধি, সাহিত্যবোধ, ফিল্ম চেতনার পরিচয় দিয়েছিলেন। এই তিন নম্বর ছবি ‘সাগরদ্বীপে যকের ধন’-এ পৌঁছেও সেই পরিণত চেহারা দেখানোর কোনও বিরাম ঘটল না।

‘যকের ধন’ সিরিজের দ্বিতীয় ছবি এটি। কোনও এক ‘ধর মহাশয়’ তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে গবেষণা করে বহু মূল্যবান লিক্যুইড মার্কারি আবিষ্কার করেছিলেন। কিন্তু সেই আবিষ্কার গুপ্তধনের মতো লুকোন আছে দূর-প্রাচ্যের সমুদ্রের অতলে কোনও এক জায়গায়। এবার পরমব্রত-কোয়েল-কাঞ্চন মল্লিকদের কাজ সেই গুপ্তধনের খোঁজে বেরোন। সঙ্গে এবার অবশ্য অধ্যাপক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, মেন্টর কৌশিক সেন এবং কুয়েতের ব্যবসায়ী রজতাভ দত্তরা ঢুকে পড়েন। মনে হতেই পারে এবার কি গল্পে তাহলে খলনায়ক নেই? না। সেটা তো হতে পারে না। গুপ্তধনের প্রতি লোভের দৃষ্টি থাকবে না কারও সেটা অসম্ভব। চিত্রনাট্যকার সৌগত বসু বেশ কৌশল করেই ভিলেনদের সৎ লোকের মুখোশ পরিয়ে রেখেছেন ছবির প্রায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। আবার এক ভিলেনের হৃদয় পরিবর্তনের ঘটনাও রাখা হয়েছে। তবে সুকঠিন রোগাক্রান্ত কিশোরীকে নিয়ে আরও একটু বাড়তি জায়গা প্রয়োজন ছিল। যার অভাবে লিক্যুইড মার্কারিতে তার অসুখ সারানোর ব্যাপারটা কেমন আলগা হয়ে যায়।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ইতিহাস ভুলে নাটকীয়তায় জোর আশুতোষের, ‘পানিপথ’-এর প্রাপ্তি সঞ্জয়ের অভিনয় ]

ইতিহাস, উপনিষদ, গীতা থেকে প্রেমেন্দ্র মিত্র, পুরনো বাংলা ছবি ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ বা সাংকেতিক ছড়া রচনার মধ্যে বেশ মজারু আমেজ আছে। যেটা ছোট এবং ছোটর সঙ্গী বড়রাও উপভোগ করতে পারবেন। ফলে এই ছবির জনপ্রিয় হয়ে উঠতে অসুবিধা হবে না। তার উপর রয়েছে কাঞ্চন মল্লিকের উপস্থিতি। তাঁর মুখে অনেক সময়েই কার্যকারণহীন সংলাপগুলো সুন্দর চাটনির মতো কাজ করেছে। কৃতিত্ব অবশ্যই চিত্রনাট্যকারের। সায়ন্তনের স্বাভাবিক ও সচল পরিচালনা ছবিটিকে গতিময় করেছে। তার উপর রয়েছে থাইল্যান্ডের বেশ কিছু ভার্জিন লোকেশন দেখার লোভ। হিন্দি ও বাংলা ছবিতে তো ব্যাংককের নদীতে চেজিংসিন আর পাটায়ার সমুদ্র সৈকতে নায়ক-নায়িকার গান দেখানোতেই শেষ। অজানা দ্বীপের খোঁজে গিয়ে দর্শককে সত্যিই এক অচেনা থাইল্যান্ডকে দেখালেন সায়ন্তন। জলের তলার দৃশ্য বা গুপ্তধনের প্রকৃত অবস্থানটিকে দেখানোর কাজেও আর্ট ডিরেকশন বিভাগ এবং কম্পিউটার গ্রাফিক্স বিভাগ বিশ্বাসযোগ্য কাজ করেছে। সত্যিই বেশ প্রশংসার। অভিনয়ে পরমব্রত অবশ্যই ভাল। তবে তাঁর নিজের মতো। কোয়েল মল্লিক বেশ স্মার্ট লুকে এবং অভিনয়ে। কাঞ্চন, কৌশিক, শান্তিলাল, রজতাভ, গৌরব সকলেই চিত্রনাট্যের সহায়তা পেয়ে বেশ স্বাভাবিক ও সংযত। তবে বাড়তি হাততালি পাবেন কাঞ্চন মল্লিক।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: পদ্মাপারের প্রেমিকা মিথিলার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন সৃজিত, দেখুন এক্সক্লুসিভ ছবি ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ