Advertisement
Advertisement

Breaking News

নওয়াজেরই ছবি, কিন্তু দর্শকের কাছে কতটা খোলসা হল ‘ঠাকরে’-র জীবন?

কেমন হল ছবি?

Thackeray movie review
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:January 25, 2019 5:11 pm
  • Updated:January 25, 2019 5:11 pm

চারুবাক: বালসাহেব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি শুধু নয়, সমাজব্যবস্থা এবং রোজকার ক্রিয়াকর্মেও একটি অতি পরিচিত এবং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নাম। প্রায় ৪৫-৫০ বছর আগে তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস গোষ্ঠীতে কার্টুনিস্টের চাকরি ছেড়ে দেন স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের কারণে। শুরু করেন নিজের সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘মার্মিক’। প্রতিবাদের শুরু সেই সদ্য তরুণ বয়স থেকেই।

বালসাহেব তখন থেকেই উপলব্ধি করেছিলেন মুম্বই শহরে ভূমিপুত্ররাই অবহেলিত। তামিল-তেলুগু-বিহারির-পার্সিদের চাপে নিজস্ব পরিচিতিই হারিয়ে ফেলেছে। তখন থেকেই তাঁর জীবনের মূলমন্ত্র হয়েছিল মারাঠি মানুষদের স্বভূমিতে স্বাধিকার স্থাপনের লড়াই। তিনি বলতেন, “আমরা হাতজোড় করে আর কারওর আনুগত্য চাইব না। প্রয়োজনে হাত ভাঙব।” (হাত ছোড়েঙ্গে নেহি, হাত তোড়েঙ্গে)। এমন উগ্রবাদী স্লোগান নিয়েই তিনি শুধু মুম্বই নয়, সারা মহারাষ্ট্রে ‘শিব সেনা’ নামে দলের প্রতিষ্ঠা করেন। একটা সময়ে এসে তাঁর দল বিধানসভাও দখল করে রাজ্যের শাসনভার নেয়। বালসাহেব নিজে প্রত্যক্ষ নির্বাচনে অংশ না নিলেও তিনিই আবার তাঁকে এবং তাঁর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগে আদালতের কাঠগোড়ায় দাঁড়াতে হয়।

Advertisement

নান্দনিক মোড়কে একান্তই সৃজিতের ছবি হয়ে উঠল ‘শাহজাহান রিজেন্সি’ ]

Advertisement

অভিজিৎ পানসে নামের পরিচালক বালসাহেব ঠাকরের তখনকার ঘটনাবহুল জীবনকে নিয়ে বানিয়েছেন ‘ঠাকরে’ নামের ছবিটি। সময়ের কারণেই সব ঘটনার ঠাঁই হয়নি চিত্রনাট্যে। তবে মোরারজি দেশাইয়ের মুম্বই সফরে শিব সেনার আন্দোলন বা ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে ঠাকরের সাক্ষাৎকারগুলো যেমন জায়গা পেয়েছে। তেমনই ‘মানবিক’ ঠাকরেকে উপস্থিত করার জন্য চিত্রনাট্যে দাঙ্গায় বিধ্বস্ত এক মুসলিম পরিবারকে ‘আশ্রয়’ দেওয়া কিংবা পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলার ব্যাপারগুলোও রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত ঘটনার জটে হারিয়ে গিয়েছে সিনেমার খেই এবং বুদ্ধি। এমনকী তাঁর পারিবারিক-সাংসারিক ব্যাপারটাও প্রায় অনুপস্থিত।

তবে ছবির শেষপর্বে দুই সন্তানকে পাশে নিয়ে ঠাকরের ছবির তলায় ‘চলবে’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। বোঝা যায় এই ছবির দ্বিতীয় পর্ব অনিবার্য। সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের সাদা-কালো-রঙিন ফটোগ্রাফির সঙ্গে চোখ ভরে দেখার মতো হল নওয়াজউদ্দিনের অত্যন্ত সংযত অথচ ব্যক্তিত্ব চড়ানো দৃপ্ত অভিনয়। বালসাহেবকে কিন্তু নকল করেনি। নওয়াজ ধরতে চেয়েছেন চরিত্রটির অন্তর্দাহ এবং যন্ত্রণাকে। পেরেছেনও। সাবাস নওয়াজ!

দর্শকদের মজাতে পারলেন কি ইমরান? কেমন হল ‘হোয়াই চিট ইন্ডিয়া’? ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ