Advertisement
Advertisement

Breaking News

কমল হাসান

‘জাল্লিকাট্টুর থেকেও ভয়ংকর প্রতিবাদ হবে’, হিন্দি চাপানো নিয়ে অমিতকে হুঁশিয়ারি কমলের

ভাষা নিয়ে সমঝোতা না করার বার্তা ইয়েদিরও।

Kamal Haasan slams Amit Shah on Hindi to be a unifying language row
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:September 17, 2019 9:20 am
  • Updated:September 17, 2019 9:20 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  গত শনিবার হিন্দি দিবসের দিন দেশের পরিচয় হিসাবে ‘হিন্দি’কে ‘জাতীয় ভাষা’র তকমা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দেশের নানা প্রান্তে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে একাধিক রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট মানুষ। সবচেয়ে বেশি সরব দক্ষিণের রাজ‌্যগুলি। এবার সেই বিতর্কে মুখ খুললেন জনপ্রিয় অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ কমল হাসনও। মক্কল নিধি মাইয়াম (এমএনএম) প্রধান সাফ বলেছেন, “কোনও শাহ, সুলতান বা সম্রাটের মর্জিমাফিক দেশ চলবে না। দরকারে জাল্লিকাট্টুর চেয়েও বড় আকারে প্রতিবাদ হবে” এমন মন্তব্যেই হুঁশিয়ারি দেগেছেন কমল।

[আরও পড়ুন:  আচমকা নীতীন গড়করির সঙ্গে দেখা, সঞ্জয় দত্তর বিজেপি যোগ নিয়ে জল্পনা]

সোমবার কমল হাসন জানান, ভারতীয় প্রজাতন্ত্র তৈরি হওয়ার সময় রাজ‌্যগুলিকে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য‌ রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তা কোনও মতেই লঙ্ঘন করা উচিত নয়। নাহলে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দেশে ‘ভাষাযুদ্ধ’ শুরু হবে। উল্লেখ‌্য, গত জুলাইয়ে পেশ করা খসড়ায় জাতীয় শিক্ষাস্তরে হিন্দিকে আবশ‌্যক করার প্রস্তাব দেওয়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন কমল হাসন। তখনও ২০১৭-র জাল্লিকাট্টু আন্দোলন প্রসঙ্গের উল্লেখ করেছিলেন তিনি। 

Advertisement

 

Advertisement

কেন্দ্রকে সতর্ক করে দিয়ে এই বিশিষ্ট অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বলেছেন, “ভাষা ও সংস্কৃতি অপরিবর্তিত রেখেই ভারত প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়েছিল। গণতন্ত্রের শপথের সময় আমরা বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।” কমল হাসান আরও বলেন, জোর করে হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়া হলে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। ঐক্যবদ্ধ ভারত কারও একচেটিয়া সম্পত্তি নয়। জাল্লিকাট্টু ছিল নিছকই একটা প্রতিবাদ। তামিল আমাদের মাতৃভাষা। যদিও আমরা সব ভাষাকেই সম্মান করি। কিন্তু মাতৃভাষার ভাষার জন‌্য লড়াই কিন্তু আরও অনেক বড় আকার নেবে।”

জাতীয় সংগীতের প্রসঙ্গ তুলে বিশিষ্ট অভিনেতা বলেন, “দেশের অধিকাংশ মানুষই গর্বের সঙ্গে বাংলায় জাতীয় সংগীত গায় এবং ভবিষ্যতেও গাইবে। তার কারণ, জাতীয় সংগীতের স্রষ্টা প্রত্যেক ভাষা ও সংস্কৃতিকে সম্মান জানিয়ে তা রচনা করেছিলেন। সে জন‌্যই এটি জাতীয় সংগীত হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। তাই যে ভারত সবাইকে আপন করে নেয়, তাকে কোনও একটি ভাষার করতে চেষ্টা করবেন না।” কেন্দ্রের দূরদৃষ্টির অভাবে সবাইকে ভুগতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে আপত্তি, নতুন ছবির প্রস্তাব ফেরালেন মিমি ]

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এই মন্তব্যের সমালোচনা করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন শাহের মন্তব্যকে সরাসরি ‘দেশের বৈচিত্র্যের পরম্পরা ধ্বংসের অভিপ্রায়’ বলে ব্যাখ্যা করেন। ভাষার নামে সংঘ পরিবার নতুন যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি করতে চাইছে বলেও আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর দাবি, অহিন্দিভাষী মানুষকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হচ্ছে। আপত্তি তুলে টুইট করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তামিলনাড়ুর বিরোধী নেতা তথা ডিএমকে প্রধান স্ট‌্যালিন প্রতিবাদ করেছেন। এমনকী, কেন্দ্রের এনডিএ-র শরিক রাজ্যের দুই দল এআইএডিএমকে এবং পিএমকে-ও এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছে। আপত্তি জানিয়েছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ‌্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীও। উল্লেখ‌্য, হিন্দির বিরোধিতায় তামিলনাড়ুতে ১৯৩৭ থেকে ১৯৪০ এবং ১৯৬৫-তে তীব্র প্রতিবাদ-আন্দোলন হয়েছিল। কটাক্ষ করেছেন কর্নাটকের মুখ‌্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পাও।  তিনি জানান, কন্নড় ভাষার যে নিজস্বতা রয়েছে, আর তার সঙ্গে যে সংস্কৃতি জড়িয়ে রয়েছে, তাকে বাঁচাতে বদ্ধ পরিকর তিনি। আর এব‌্যাপারে কোনওরকম সমঝোতা তিনি করবেন না।

 

ভাষা নিয়ে সমঝোতা না করার বার্তা ইয়েদির

 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ