Advertisement
Advertisement
মিমি চক্রবর্তী

দিল্লিগামী বিমানে প্রসেনজিৎ-মুকুল সাক্ষাৎ, মুখ খুললেন ‘সাক্ষী’ মিমি চক্রবর্তী

কেআইআইএফ-এর চেয়ারম্যান পদে রাজ প্রসঙ্গে কী বললেন ‘প্রাক্তন’ মিমি?

Mimi Chakraborty recalls Prosenjit-Mukul encounter on flight
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:August 13, 2019 2:33 pm
  • Updated:August 13, 2019 2:33 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান পদ থেকে সম্প্রতি অপসারিত হয়েছেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যেই ইস্যু নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। এখনও সেই রেশ বজায় রয়েছে। টলিউডের এই হেভিওয়েট অভিনেতাকে দিন কয়েক আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে সমন পাঠানো হয়েছিল। সারদা কাণ্ডে জেরাও করা হয়েছে তাঁকে। কখনও শোনা গিয়েছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বর্তমানে থিতু হয়েছে। সম্প্রতি আবার দিল্লি যাওয়ার সময়ে পশ্চিমবঙ্গের গেরুয়া শিবিরের নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়া, সেই যজ্ঞের আগুনে আরও ঘি ঢেলেছে। অতঃপর কেআইআইএফ-এর যাবতীয় কমিটির সদস্য পদ থেকে থেকে সরে গিয়েছেন প্রসেনজিৎ। তাহলে কি নেপথ্যে সত্যিই কোনও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে? ঠিক এই প্রশ্নের উত্তর দিতেই মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ তথা টলিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।

[আরও পড়ুন: টলি থেকে বলিউড যাত্রা, কিংবদন্তী রহিম সাহেবের বায়োপিকে রুদ্রনীল ঘোষ]

সম্প্রতি দিল্লি যাওয়ার পথে বিমানে মুকুল রায় এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের দেখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে কথাও হয়েছে। আর সেখান থেকেই জোর জল্পনা প্রসেনজিৎ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তবে সেদিন কিন্তু এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন আরও একজন। তিনি মিমি চক্রবর্তী। দিল্লিগামী বিমানে ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? বললেন মিমি। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনা বর্ণনা করেছেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ। মিমি জানান, সেই বিমানে সেদিন তিনি এবং তাঁর ম্যানেজারও ছিলেন। গোটা ঘটনাটা তিনি চাক্ষুষ করেছেন। আর ৫ জনের মতোই প্রসেনজিৎ কথা বলেছিলেন মুকুলের সঙ্গে। এমনকী, মিমি নিজেও গিয়ে কথা বলেছিলেনব মুকুল রায়ের সঙ্গে। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম সেরেছেন।

Advertisement

“আমি অবশ্যই একজন সাংসদ। কিন্তু যখন আমি অভিনেত্রী তখন শুধুমাত্রই একজন শিল্পী।”  

Advertisement

মিমির কথায়, “গুরুজনদের থেকে আশীর্বাদ নেওয়ার এই রীতি তাঁর মা-বাবার থেকেই শেখা। কিন্তু বুম্বাদাকে নিয়ে যেই জল্পনা, তা ঠিক নয়। আজকাল সবকিছুকেই রাজনীতির রঙে রাঙিয়ে দেওয়া একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে দেখছি! সিনেমার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। আমি অবশ্যই একজন সাংসদ। কিন্তু যখন আমি অভিনেত্রী তখন শুধুমাত্রই একজন শিল্পী। যার সঙ্গে রাজনীতির রঙের কোনও মিল নেই।”  

[আরও পড়ুন: Man Vs Wild: ছোটবেলায় কুমির ধরার গল্প শোনালেন বন্যপ্রাণপ্রেমী মোদি]

অন্যদিকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবর্তে কেআইআইএফ-এর চেয়ারম্যান পদে বর্তমানে আসীন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। যেই ইস্যু নিয়ে আপাতত সরগরম বাংলা সিনেমহল। টলিউড ইন্ডাস্ট্রি ভাগ হয়ে গিয়েছে দু’ভাগে। একপক্ষ রাজকে স্বাগত জানিয়েছে চলচ্চিত্র উৎসবের নয়া চেয়ারম্যান হিসেবে। আরেকপক্ষ প্রশ্ন তুলেছে রাজের সিনেমা বোঝার দক্ষতা নিয়ে। এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন রাজের ‘প্রাক্তন’ মিমি চক্রবর্তী। “রাজকেও সুযোগ দেওয়া উচিত। মূলত কমার্শিয়াল ছবি তৈরি করায় অনেকেরই ধারণা ওর বোধহয় সিনেমা নিয়ে কোনও জ্ঞান নেই! কিন্তু রাজ প্রচুর সিনেমা দেখেছে। ওয়ার্ল্ড সিনেমা নিয়েও ওঁর ইন্টারেস্ট রয়েছে। এমনকী, রাজের বাড়িতে সত্যজিৎ রায়ের অনেক বইও রয়েছে। রাজ নিশ্চয়ই ওঁর নতুন দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে”, এমনটাই মত মিমি চক্রবর্তীর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ