Advertisement
Advertisement
অপর্ণা সেন

ঘরে বাইরে নিয়ে আজ মানিককাকার বাড়িতে রিনা

একান্ত আলাপচারিতায় অপর্ণা সেন।

Renowned director Aparna Sen's exclusive interview on 'Ghore Baire Aaj'
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:November 16, 2019 6:30 pm
  • Updated:November 16, 2019 6:30 pm

ছ’বছর বাদে শুক্রবারের মধ্যদুপুরে বিশপ লেফ্রয় রোডে তিনি! আর অপর্ণা সেন এলেনও কিনা ‘ঘরে বাইরে আজ’ রিলিজের ঘণ্টাখানেক আগে। সত্যজিৎ রায়কে যেন তর্পণ জানাতে। অবাক সাক্ষী ইন্দ্রনীল রায়

এই বাড়িতে তুমি প্রায়ই আসতে?

Advertisement

খুব রেগুলারলি না হলেও, আসতাম। ইন ফ্যাক্ট ১৯৭৬-এ তো মানিক কাকার সঙ্গে ইফির জুরিতে ছিলাম। সেই সময়ে ওঁর সঙ্গে বেশ ভাব হয়ে গেছিল। তারপর তো ‘সানন্দা’-র এডিটর যখন ছিলাম তখন ইন্টারভিউ নিতেও এসেছি এখানে।

Advertisement

খুব ইমোশনাল দেখলাম তোমাকে?

(চোখে জল) কী বলি আর। এত স্মৃতি… মানিক কাকা… বাবা…

কোনওদিন জিজ্ঞেস করা হয়নি। ‘থার্টি সিক্স চৌরঙ্গী লেন’ দেখে ওঁর রিঅ্যাকশন কী ছিল?

আমি মানিক কাকাকে রিকোয়েস্ট করেছিলাম যে আপনি ‘থার্টি সিক্স চৌরঙ্গী লেন’-এর মিউজিকটা করে দিন। কিন্তু তখন উনি বলেছিলেন, “বাবুর (সন্দীপ রায়) ছবির জন্য আমি এখন মিউজিক করছি, সময় হবে না।” পরে বলেছিলেন, তুমি চাইলে আমি তোমার ছবিটা এডিট করে দিতে পারি, কারণ কয়েকটা জায়গায় ওঁর মনে হয়েছিল ছবিটা লুজ আছে।

তারপর?

(হাসি) ওই স্টেজে নিজের ছবি সম্পর্কে একজন পরিচালক খুব পজেসিভ হয়ে ওঠে। আর মানিক কাকাকে একটা ছবি এডিট করতে দেওয়ার পর আমার পক্ষে তো আর চেঞ্জ করা সম্ভব হত না। তাই সেটা আর হয়ে ওঠেনি।

সত্যজিৎ রায় ‘ঘরে বাইরে’ বানিয়েছিলেন ১৯৮৪-তে। পঁয়ত্রিশ বছর পর আজ ঘণ্টাখানেক বাদে ‘ঘরে বাইরে আজ’ রিলিজ। আর তুমি সত্যজিৎ রায়-এর ঘরে? লাইফ হ্যাজ কাম আ ফুল সার্কল…

ঘর তো ছিল পাশেরটা…

বাড়িটা তো সত্যজিৎ রায়ের?

তা ঠিক। ওঁর ‘ঘরে বাইরে’-তে আমার বিমলা করার কথা ছিল কিন্তু। তারপর হি চোজ স্বাতীলেখা।

খারাপ লাগেনি তোমার?

অভিমান হয়েছিল। মনে হয়েছিল মানিক কাকা আমাকে কল করে অথবা ডেকে জানাতে পারতেন বিষয়টা।

কমপ্লেন করোনি?

নেভার। দু’-একটা জায়গায় বলেছিলাম আমার খারাপ লাগার কথা। মানিক কাকা আমাকে প্রশ্রয় দিতেন। হি ওয়াজ ইনডালজেন্ট টুওয়ার্ডস মি। আমি শুনেছিলাম উনি বলেছিলেন, রিনার তো অভিমান হতেই পারে। হ্যাভিং সেড দ্যাট, আমার এটাও মনে হয় বাকি ছবির কম্প‌্যারিজনে ‘ঘরে বাইরে’ ওয়াজ নট হিজ গ্রেটেস্ট ফিল্ম। আসলে একজন মানুষের পক্ষে একটার পর একটা মাস্টারপিস বানানো সম্ভবও না।

সেই সময় হার্ট অ্যাটাকও হয়েছিল। 

কারেক্ট। শরীরটাও খারাপ ছিল। আজকে আমি বুঝি একজন ফিল্মমেকার যখন ছবি বানায় তার সেন্সেস হ্যাভ টু বি রিয়েলি অ্যালার্ট। ইট ইজ আ লট অফ হার্ড ওয়ার্ক। ইন্টারেস্টিংলি এই ছবি বানাতে গিয়ে আই টুক আ ফল। ১৩ অক্টোবর ২০১৮। আমার স্পষ্ট মনে আছে। পড়ে গিয়ে হাঁটুতে ক্র্যাক হল। আর বুঝতেই পারিনি, ওই পড়ার জন্য স্পাইনটাতেও লাগল। বেড রিডেন ছিলাম। তারপর তো হুইলচেয়ারে বসে বাকিটা পরিচালনা করলাম।

সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশের মৃত্যু কি সত্যিই তোমাকে এতটা নাড়িয়ে দিয়েছিল যে তুমি ‘ঘরে বাইরে আজ’ বানানোর ডিসিশন নিলে?

হ্যাঁ, এটা সত্যি। যেদিন গৌরীকে গুলি করা হল, আমি অনেক রাত অবধি ঘুমোতে পারিনি। তারপর ভোররাতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম জানি না। সেদিন স্বপ্ন দেখেছিলাম যে সত্যজিৎ রায়ের ছবির অনুরাগী একটি ছেলে, যে ফার্স্ট টাইম ফিল্মমেকার, সে ‘ঘরে বাইরে’ উপন্যাসটা আজকের পরিপ্রেক্ষিতে বানাচ্ছে। তা আমি ছেলেও নই, ফার্স্ট টাইম ফিল্মমেকারও নই। 

কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, এটা যেন কেউ আমাকেই বলছে বানাতে। তারপর আমি নিজেকে একদম কাট অফ করে নিই সব জায়গা থেকে… আর একটা ডিটেলড সিনপসিস লিখে শ্রীকান্তকে (মোহতা) পড়তে দিই। হি ওয়াজ অলসো ভেরি এক্সাইটেড।

আরও কয়েকটা পলিটিকাল প্রশ্ন করতে চাই। এই যে বাবরি মসজিদের রায় বেরোল। আমি ছাত্রাবস্থায় তোমার একটা লেখা পড়েছিলাম, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের রাতে তুমি আর তোমার বাবা নাকি সারা রাত ঘুমোতে পারোনি। সেই ঘটনার সাতাশ বছর পর একটা রায় বেরোল, দেশে সেরকম কোনও প্রতিক্রিয়া হল না, অ্যাজ ইফ এটা হওয়ারই ছিল। এই বদলে যাওয়া দেশটা তোমাকে কতটা ভাবায়?

ওটা বাবরি মসজিদ ভাঙার রাত নয়। তার আগের দিন রাতে অনেকক্ষণ জেগে ছিলাম আমি আর বাবা। আমরা বলাবলি করছিলাম, এটা সেকুলার দেশ, কোনওমতেই কেউ মসজিদ ভাঙবে না। তারপর তো যা হওয়ার হল। অ্যাজ ফর দ্য ভার্ডিক্ট, আমার রঞ্জন গগৈয়ের উপর ভরসা আছে। তবে আমার মনে হয়েছে এই রায়টার পিছনে একটা প্র্যাগমাটিজম রয়েছে। এটা আমার হাঞ্চ, যদি এই রায়টা মুসলমানদের ফেভারে যেত তাহলে দেশে গুজরাতের পুনরাবৃত্তি হত। সেটা হোক কেউ চায়নি, সবাই শান্তি চেয়েছে। পিস অ্যাট অল কস্ট। তাই জন্যই এই রায়।

আজকে তো অপর্ণা সেন শুধু একজন ফিল্মমেকার নন। অপর্ণা সেন আজকে একটা ন্যাশনাল পলিটিক‌্যাল ভয়েস। হঠাৎ করে তুমি এত সরব হলে কেন?

আমি কোনও একটা পার্টির হয়ে কিছু বলি না। আমার প্রোটেস্ট ইস্যু বেসড।

ভোটের সময় যেদিন তুমি তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্রিটিসাইজ করতে সেদিন সবাই বলত অপর্ণা সেন কি তাহলে ২০২১-এ বিজেপির ক্যান্ডিডেট?

তার পরের দিন দেখা যেত তুমি বিজেপি-কেও তুলোধোনা করছ। তখন মানুষ বলত তাহলে উনি বিজেপি-র সাপোর্টার নন। 

আমাকে বিজেপির ভাবত কি কেউ? ওরা কি আমার আইডিওলজি জানে না? ওই যে বললাম আমার ক্রিটিসিজম ইস্যু বেসড। সাংবাদিক সন্ময়ের (বন্দ্যোপাধ্যায়) সঙ্গে যা হল সে ব্যাপারে কিন্তু আমি পিটিশন সাইন করেছি। কলকাতায় ছিলাম না। না হলে রাস্তায় নামতাম। 

পাশাপাশি এটাও বলছি সাইক্লোন বুলবুলের ল্যান্ডফলের সময় যেভাবে মমতা সবটা হ্যান্ডেল করল, দ্যাট ওয়াজ আ গুড জব। লাইভ টেলিকাস্টে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে যে মিটিং করল সেটাকে সাধুবাদ জানাই। ক’জন চিফ মিনিস্টারের সাহস থাকবে সেটা করার?

এত ঠোঁটকাটা মন্তব্য করো। অপর্ণা সেনের ভয় করে না?

আমি আজ অবধি কোনও পলিটিক‌্যাল পার্টির কাছ থেকে একটা নয়া পয়সা নিইনি। কারও কাছ থেকে কোনও জমি-বাড়ি নিইনি। তাহলে আমার কী ভয়? আর সত্যি বলতে, আমার কোনও পলিটিশিয়ানের উপরেই ভরসা নেই। আমার মানুষের উপর, হিউম্যান গুডনেসের উপর ভরসা আছে। এটা সারা জীবন থাকবে।

[আরও পড়ুন: ‘আমি ভাগ্যবান যে কাস্টিং কাউচের মুখোমুখি হইনি’, অকপট সৌরসেনী ]

ফেসবুকে তো আমার সঙ্গেও ঝগড়া করলে একদিন?

তোর সঙ্গে ঝগড়া করলাম কই?

করেছিলে তো?

সে আমি লেফট উইং আর তুই বেশি করে রাইট ইউং বলে। (হাসি)

সাংবাদিক হিসেবে আমার তো কাজই প্রোভোক করা যাতে সামনে যে রয়েছে সে রিঅ্যাক্ট করে।

আমি তো অনেক বছর এডিটর ছিলাম। আমি মনে করি সাংবাদিকের কাজ ট্রুথটা বের করে আনা। প্রোভোক করা নয়। বুঝলি? (হাসি)

বুঝলাম। আজকাল তো তোমাকে বা একটা গ্রুপকে অনেকেই লিবারাল বলে। লিবারাল ইজ আ…

(থামিয়ে দিয়ে)…হ্যাঁ, লিবারাল ইজ আ ব্যাড ওয়ার্ড টুডে। হাসিও পায়, কিছু বলতেও পারি না কিন্তু মাঝেমধ্যে দেখি আমাকে ওরা বলছে, ‘সিউডো লিবারাল’। এই ‘সিউডো লিবারাল’ ব্যাপারটা কী আমি জানি না ভাই। (হাসি) যারা সিলেক্টিভলি লিবারাল, তাদেরকে ইঙ্গিত করে বলা না কি? তা আমি তো মনে করি সব ব্যাপারে প্রোটেস্ট করলে প্রোটেস্টের ভ্যালু চলে যায়। কিন্তু কে বোঝাবে কাকে? আর তোমরা যদি আমাকে ‘সিউডো লিবারাল’ মনে করো, আমার কিছু করার নেই। ইউ গাইজ ক্যান গো অ্যান্ড জাম্প ইনটু দ্য রিভার। 

আর একটা কথা বলি, অপর্ণা সেন কিন্তু মনেপ্রাণে সেকুলার। তার পাশাপাশি আমি যে কোনও ফান্ডামেন্টালিজমের বিরুদ্ধে। মনে করে দ্যাখ, আমার ‘সোনাটা’ ছবিতে কিন্তু আমি সেই কথা বলেওছি। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যারা মেজরিটি কমিউনিটি তাদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি আরও বেশি করে প্রোটেক্টিভ হওয়া উচিত।

‘ঘরে বাইরে আজ’-এ তো অনির্বাণ একজন মডার্ন ডে এডিটর।

এডিটর-পাবলিশার। অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালায়।

সত্যি বলো তো, আজকের মিডিয়া নিয়ে কি তুমি ডিসঅ্যাপয়েন্টেড?

হ্যাঁ, ডিসঅ্যাপয়েন্টেড। আজকের বেশিরভাগ মিডিয়া দর্শক বা পাঠকদের কাছে সত্যটা পরিবেশন করে না। বেশিরভাগ ট্র্যাডিশনাল মিডিয়া হাউজ বিক্রি হয়ে গিয়েছে। আমাকে ভরসা জোগায় অনলাইন পোর্টালগুলো। আমাকে ভরসা দেয় রবীশ কুমার। রবীশ প্রোভোক করে না। ইন্দ্রনীল, একটা কথা প্লিজ মনে রাখিস। আমার এই বয়সে হঠাৎ করে যেভাবে আমার ইন্ডিয়াটা বদলে গেল, সেটা দেখাটা খুব কষ্টের। টু সি দিজ চেঞ্জ ইজ ভেরি টাফ। আগে তো আমরা সবাই অ্যান্টি এস্ট‌্যাব্লিশমেন্ট ছিলাম। কেউ তো তখন আমাদের অ্যান্টি-ন্যাশনাল বলেনি? আজকাল চারিদিকে একটা ভয়, একটা টেরর। এটা কী শুরু হল…

একটু ‘ঘরে বাইরে আজ’-এ ফিরি। এই ছবিতে যিশু সেনগুপ্ত রয়েছেন ‘সন্দীপ’-এর চরিত্রে। অনির্বাণ ভট্টাচার্য ‘নিখিলেশ’-এর চরিত্রে। তোমার মনে হয়নি চরিত্রগুলো ইন্টারচেঞ্জ করা যেতে পারে?

মনে হয়েছিল। অনির্বাণ চায়নি ‘সন্দীপ’ করতে। ওর মনে হয়েছিল নিখিলেশ করলে হি উইল গ্রো অ্যাজ অ্যান অ্যাক্টর। আর যিশু বলেছিল, “রিনা পিসি, প্লিজ সন্দীপকে আমার থেকে নিও না।” আমার ছবিতে  নিখিলেশ আর সন্দীপের বন্ধুত্বটা আমি অনেকটা দেখিয়েছি যা উপন‌্যাসে ছিল না। দু’জন বন্ধু কিন্তু চিন্তাধারা পোলস অ‌্যাপার্ট। মাঝখানে এক নারী। সঙ্গে এই সময়ের রাজনীতি। 

আর তুহিনা দাস? অপর্ণা সেনের ছবির নায়িকা মানেই তো কেরিয়ার ফাস্ট ট্র্যাকে মুভ করা।

তুহিনার কাস্টিংয়ে আমাকে হেল্প করেছিল সৃজিত। ও-ই আমাকে তুহিনার কথা বলে। সৃজিত কিন্তু এই একবার নয়, এর আগেও দু-তিনবার আমাকে হেল্প করেছে কাস্টিংয়ে। ‘আরশিনগর’-এর সময় ঋত্বিকা সেনের কথা সৃজিতই আমাকে বলে।

আজ একটু পরেই ছবি রিলিজ। তাহলে এটাই কি অপর্ণা সেনের সবচেয়ে পলিটিক‌্যাল ছবি?

আমার সব ছবিই পলিটিক‌্যাল। তবে হ্যাঁ এটা সবচেয়ে ওভার্টলি পলিটিক্যাল তো বটেই…

রিলিজের পর বিতর্কের আশঙ্কা করছ?

(ভেবে) সত্যি কথা বলতে আই অ্যাম ওরিড। পুরো সমাজটাতেই এত পোলারাইজেশন হয়ে গেছে। এবার পুজোর পর আমাদের পরিবারের একটা বিজয়া সম্মিলনী ছিল। সেখানে স্ট্রিক্টলি বলে দেওয়া হয়েছিল, পলিটিক‌্যাল আলোচনা নয়। এখন তো পলিটিক্সের মেরুকরণের জন্য বন্ধুত্বও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

[আরও পড়ুন: প্রথম ছবিতেই জাতীয় পুরস্কার, পরিচালনা নিয়ে অকপট ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত ]

আচ্ছা, বিশপ লেফ্রয়ের এই বাড়িতে তুমি বসে। মনে হচ্ছে না, তোমার ‘মানিক কাকা’কে যদি দেখাতে পারতে ছবিটা…

আমি ‘থার্টি সিক্স চৌরঙ্গী লেন’-এর স্ক্রিপ্টটা দেখিয়েছিলাম মানিক কাকাকে। ‘পরমা’-র গল্পটা বলেছিলাম, কিন্তু স্ক্রিপ্ট দেখাইনি। ‘ঘরে বাইরে আজ’-এর স্ক্রিপ্টটা মানিক কাকাকে দেখাতে পারলে ভাল হত। ওঁর ‘ঘরে বাইরে’, আমার এই ছবিটা- দুটো স্ক্রিপ্টের ভাল দিক, খারাপ দিক নিয়ে ওঁর সঙ্গে ফ্যাসিনেটিং আলোচনা হতে পারত।

তোমাকে প্রোভোক করছি। এটা বলে যাও, অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে ভবিষ্যতে কোনও টিভি শো কি করবে তুমি?

মনে হয় না। যে সাংবাদিক এতটা বায়াসড, তার প্রতি আমার একটুও রেসপেক্ট নেই। আর তুই কি আমাকে প্রোভোক করার জন্য এগুলো জিজ্ঞেস করছিস নাকি? (হাসি)

আমার তো এটাই কাজ।

তোর অর্ণবকে খুব ভাল লাগে, না? এবার বল, তাহলে তুই কার বেশি ফ্যান? আমার না অর্ণবের? (হাসি)

এটা কোনও প্রশ্ন হল? অর্ণবকে আমার ভাল লাগে কিন্তু আমি অলওয়েজ তোমার ফ্যান। (হাসি) এবার চল এখান থেকে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ