রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: জাপানের বহুমূল্য ‘মিয়াজাকি’ থেকে আমেরিকার ‘রেড পালমার’। কোন প্রজাতির আম নেই লোচাবাবুর আমবাগানে। বাড়ির সামনে মাত্র এক বিঘা জমিতে ছোট্ট আমবাগানে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ৬৫ প্রজাতির আম ফলিয়ে তাক লাগিয়েছেন আলিপুরদুয়ার পূর্ব ভোলারডাবরির লোচা দেব। আর এই ৬৫ প্রকার আম গাছের পাহাড়া দেওয়ার জন্য ৮ সিসি ক্যামেরায় বাগান ঘিরে ফেলেছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের এই রেল কর্মী।
বিশ্বের সব থেকে বেশি মিষ্টি আম নাকি ‘কারাবাও’। সেটিও সম্প্রতি নিজের আমবাগানে লাগিয়েছেন লোচা। তিনি বলেন, “আম পছন্দের ফলের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে। ছোট বেলা থেকে বাবাকে বাগান করতে দেখেছি। সেই থেকে বাগান করার শখ। বাগানে দেশি বিদেশি ৬৫ প্রজাতির গাছে আম ফলেছে। রেড ড্রাগন, মিয়াজাকি, রেড পালমার, কারাবাও, ভেরিগেটেড ম্যাঙ্গো, রেড আইভরির মত বিদেশি আমের সঙ্গে রয়েছে দেশি হিম সাগর-সহ নানা জাতের আম গাছ।” বহুমূল্য আম রক্ষায় রয়েছে নজরদারির ব্যবস্থাও।
স্বামীর সাধের আমের বাগান নিয়ে ঝক্কি কম পোহাতে হয় না লোচাবাবুর স্ত্রী রূপাদেবীকে। তিনি বলেন, “এই বাগান দেখতে অনেকের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। ফলে বাগান নিয়ে মানুষের কৌতূহলের উত্তরও দিতে হয় সন্তানের মত আমের গাছগুলোকে পরিচর্যা করা হয়। তবে লোচাবাবুর বেশির ভাগ আমগাছই টবে তৈরি। কিছু গাছ টব থেকে মাটিতে লাগানো হয়েছে। লোচা দেবের বাবা নিরঞ্জন দেব অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মী। এক সময় এই বাগান করতেন নিরঞ্জনবাবু। এখন ছেলের এই আমবাগানে সকাল বিকেল বসে থাকেন।” নিরঞ্জনবাবু বলেন, “আগে আধা বিঘা জমির বাগান ছিল। ছেলে আরও আধা বিঘা জমি কিনে মোট ১ বিঘা জমির বাগান করেছে। ফুলের সময় বাহারি ফুলেরও চাষ করে। ৬৫ রকমের আম গাছে ফলিয়েছে। ৮ সিসি ক্যামেরায় গোটা বাগান পাহাড়া দেওয়া হয়। নিজেরাই সেখানে নজর রাখি।”
এদিকে, আম চাষের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে জেলা উদ্যান পালন দপ্তরও। এবিষয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর দীপক সরকার বলেন, “এটা ভালো উদ্যোগ। ইতিমধ্যেই আমাদের কর্মীরা গিয়ে বাগানটি দেখে এসেছেন। কোনও সহযোগীতা লাগলে দপ্তরের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। এই ধরনের প্রয়াসে আরও অনেকে
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.