সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: পরিকাঠামো নেই, তাই চাহিদা থাকলেও পশ্চিম বর্ধমানে দেশী মাছ বা চুনো মাছ চাষ করা যাচ্ছে না। একদিকে যেমন এই প্রজাতির মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত জলাশয়ের যেমন অভাব রয়েছে। তেমনই এই জেলায় উদ্যোগী সমবায়েরও অভাব রয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা মৎস্য আধিকারিকরা৷
জানেন কীভাবে মৌমাছি পালন করে হতে পারেন লাভবান?
পূর্ব বর্ধমান জেলায় দেশীয় বা চুনো মাছের চাষকে জনপ্রিয় করে তুলতে সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে৷ কালনার পূর্বস্থলী-১ ব্লকের কোবলা বিলে খালবিল উৎসব তুমুল জনপ্রিয় হয়েছে। বর্তমানে মৎস্য প্রিয় বাঙালির পাতে ভিন রাজ্যের মাছ বদলে দেশীয় মাছ বা চুনো মাছের চাহিদা বেড়েছে। তাই এই মাছ চাষে রাজ্য সরকারও মৎস্যজীবীদের উৎসাহিত করছে৷ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন সহায়তা পেয়ে চুনো মাছ চাষে আগ্রহ বাড়ছে জেলায়-জেলায়৷ কিন্তু এই প্রজাতির মাছ চাষে আগ্রহ নেই পশ্চিম বর্ধমান জেলায়৷ মৎস্যজীবীদের অনাগ্রহের ফলে উদ্যেগীও হতে পারছেনা জেলা মৎস্য দপ্তর৷
ক্যানসার রোধে ব্রহ্মাস্ত্র ভুট্টা, চাহিদা মেটাতে বাড়ছে চাষ
এই জেলায় দেশীয় বা চুনো মাছ চাষে আগ্রহ নেই কেন? জেলা মৎস্য দপ্তরের সহ-অধিকর্তা অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “শুধু পরিকাঠামোর অভাবেই এই ধরনের মাছ চাষে মৎস্যজীবীদের উৎসাহিত করা যাচ্ছে না৷” মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রজাতির মাছ চাষে যে পরিমাপের জলাশয়ের প্রয়োজন সেধরনের উপযুক্ত জলাশয় নেই এই জেলায়৷ এই প্রজাতির মাছ চাষের বা সংরক্ষণের জন্যে জলাশয়গুলি নদীর সঙ্গে সংযুক্ত হতে হয়। কিন্তু সেই সুবিধা এই জেলাতে নেই বলেই মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি৷ এছাড়াও এধরনের মাছ চাষের দেখভালের জন্য উপযুক্ত বড় সমবায়েরও অভাব রয়েছে এই জেলাতে। জেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় এধরনের সমবায় একমাত্র দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকেই একটি ছিল৷ কিন্তু সেই সমবায়ও বন্ধ হয়ে যায়৷ ফলে চুনো মাছ চাষে উদ্যেগী হতে পারছে না জেলা মৎস্য দপ্তর৷ তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই ধরনের মাছ চাষ করতে চাইলে তাকে প্রয়োজনীয় সমস্ত সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন অভিজিৎবাবু। তিনি জানান, “বিভিন্ন ধরনের পরিকাঠামোগত অসুবিধার কারণেই এই মাছ চাষ ও সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না জেলাতে৷ এই ধরনের কোনও স্কিমও জেলা মৎস্য দপ্তরের কাছে আপাতত নেই৷ তবে ব্যক্তিগতভাবে কেউ আগ্রহী হলে তাকে প্রশিক্ষণ-সহ অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হবে৷”