সৈকত মাইতি, তমলুক: দূর থেকে দেখলে মনে হবে হয়তো এটা কোনও ফুলের বাগান! তবে খানিকটা কাছে গেলেই সেই ধারণা পালটে যাবে। আসলে এসবের নেপথ্যে রয়েছে কোলাঘাট ব্লকের বৃন্দাবনচকের বাসিন্দা প্রমথনাথ মাজীর মেহনত। এবার তিনি তাঁর জমিতে প্রায় হাজার তিনেক বিভিন্ন রঙের ফুলকপির চাষ করেছেন। বাজারে এখন আর তেমন দাম নেই কপির। কারণ, জোগান রয়েছে যথেষ্ট। এই পরিস্থিতিতে রংবেরঙের ফুলকপি চাষ করে তাক লাগালেন পাঁশকুড়ার সবজি চাষি। তাঁর সাফল্যে রীতিমতো উৎসাহিত এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও।
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট ব্লকে ফুলের উপত্যকায় প্রচুর পরিমাণ সবজির চাষও হয়। সবুজ, হলুদ, বেগুনি ফুলকপিই যেন এই মরশুমে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। ব্যবসার কথা ভেবে ব্যতিক্রমী চাষ। অবশ্য প্রমথবাবু বরাবরই পরীক্ষামূলকভাবে নিত্যনতুন চাষ করে থাকেন। কখনও ব্রোকোলি, আবার কখনও চায়না টমেটো, ক্যাপসিকাম, বিভিন্ন বিদেশি সবজি, চেরি টমেটো চাষ করে নজর কেড়েছেন। আর তাঁর এই অভিনব চাষের পদ্ধতিতে বেশ খানিকটা উৎসাহিত এলাকার অন্য়ান্য কৃষকরাও।
শীতের সবজি হিসাবে গৃহস্থের হেঁশেল দখল করেছে ফুলকপি। তবে বছরের অন্যান্য সময়েও ফুলকপির কদর রয়েছে যথেষ্ট। শীতে অতিরিক্ত ফুলকপির জোগানে দাম তলানিতে নেমে আসে। তাই সেদিকে নজর রেখে গত ২ বছর ধরে কোলাঘাটের কৃষক নিজের জমিতে রংবেরঙের ফুলকপি চাষের উদ্যোগ নেন। তাঁর উৎপাদিত সবুজ, হলুদ, বেগুনি ফুলকপি রীতিমতো ছেয়ে গিয়েছে কোলাঘাটের বাজারগুলিতে। প্রমথবাবুর কথায়, “অতিবৃষ্টির ফলে বেশ কিছু চারা নষ্ট হয়। তারপরেও প্রায় আড়াই হাজার রঙিন ফুলকপি গাছ বাঁচাতে পারি। হলুদ এবং বেগুনি রংয়ের ফুলকপি চাষ হচ্ছে। কোলাঘাট, খুকুরদহ ও পাঁশকুড়ার সবজি বাজারে দেদার বিক্রিও হচ্ছে।” রঙিন ফুলকপির দাম রীতিমতোই ভালোই। সাধারণ ফুলকপির বাজারমূল্য ৫ থেকে ১০ টাকা। রঙিন ফুলকপি বাজারে সহজেই ৪০ টাকা করে বিক্রি করেছেন প্রমথবাবু। আর এই রঙিন ফুলকপির স্বাদ ও গুণের কদর রয়েছে যথেষ্ট। স্বাভাবিকভাবেই মুখের হাসি চওড়া হয়েছে কৃষকের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.