রাজা দাস, দক্ষিণ দিনাজপুর: দেরিতে এসেও, দক্ষিণ দিনাজপুরে ঝোড়ো ইনিংস বর্ষার৷ আর তাতেই কিছুটা হলেও আশঙ্কামুক্ত হলেন জল সংকটে থাকা কৃষকরা। বীজ তোলা ও চারা রোপণের মধ্যে দিয়ে আমন চাষের জোর প্রস্তুতি শুরু হল মাঠে মাঠে।
জুলাইয়ের মাঝামাঝি অর্থাৎ পুরো আষাঢ় মাসেও দেখা ছিল না বৃষ্টির। পর্যাপ্ত জলের অভাবে মাথায় হাত পড়েছিল কৃষকদের। এই সময় পর্যন্ত ৫৪ শতাংশ বৃষ্টিপাতের ঘাটতি দেখা দেয় দক্ষিণ দিনাজপুরে। প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকেরও কম বৃষ্টি হয়ে ছিল। কৃষি প্রধান জেলায় গতবার ১ লক্ষ ৬৮ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছিল৷ এবার ১ লক্ষ ৭৪ হজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। কিন্তু এবার জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত মাত্র ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে চারাগাছ রোপন করা হয়েছিল। জেলায় এই ধান চাষে ১৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত দরকার। গতবার এখানে বৃষ্টি হয়েছিল ১৭৯৫.৮ মিলিমিটার। রোপনের সমস্যা দেখা দেয় বৃষ্টির অভাবে। অবশেষে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এই দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায়। বৃষ্টির দেখা পাওয়ার পরই সমস্ত ধান জমিতে চারা রোপন করতে মাঠে নামেন কৃষকরা।
কৃষকরা বলেন, ‘‘বর্ষার মরশুমে দেখা ছিল না বৃষ্টির। বিকল্প পদ্ধতিতে সামান্য কিছু জমিতে চাষ করা যেত। অল্প ফসল চাষ করায় আর্থিক সমস্যাও দেখা দিত।’’ বৃষ্টি এভাবে চলতে থাকলে, সব জমিতে আমন চাষ করতে পারবেন বলে আশা কৃষকদের। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা-সহ কৃষি অধিকর্তা জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘‘১৫ আগস্ট পর্যন্ত চারা রোপণের সময় রয়েছে। আশার আলো দেখাচ্ছে বৃষ্টি৷ এই মরশুমে কৃষকরা সব জমিতেই আমন চাষ করতে পারবেন।’’ সব সময়েই জেলা কৃষি দপ্তর কৃষকদের পাশে আছে বলেও জানান কৃষি আধিকারিক।