Advertisement
Advertisement
Tea farmers

উত্তরে ৮০ শতাংশ ছোট চা বাগান তাপদাহে বিপর্যস্ত, ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি

প্রায় ১০ হাজার হেক্টর এলাকার চা বাগান ঝলসে পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে বলে অনুমান।

Tea farmers face the loss for global warming

ফাইল ছবি

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:May 3, 2024 8:20 pm
  • Updated:May 3, 2024 8:23 pm  

বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: সেচ দিয়েও শেষ রক্ষা হল না। উত্তরে ৮০ শতাংশ ছোট চা বাগান তাপদাহে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। প্রাথমিক হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ কোটি। কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “উত্তরের ৮০ শতাংশ চা বাগান তাপদাহে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলায়। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর এলাকার চা বাগান নষ্ট হয়েছে।”

চা চাষিদের থেকে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর শীতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়ে থাকে। ওই বৃষ্টির জল মিলতে ছেটে দেওয়া চা গাছে নতুন পাতার দেখা মেলে। দুবছর থেকে আবহাওয়ার (Weather) স্বাভাবিক ছন্দের তাল কেটেছে। শীতে বৃষ্টি মেলেনি। উলটে শীত শেষ হতে লাফিয়ে বেড়েছে তাপমাত্রা। এবার তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। অথচ বাগানে ভালো মানের চা পাতা উৎপাদনের জন্য ৩১ ডিগ্রি থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং দিনে রোদ ও রাতে বৃষ্টি দরকার। চাষিরা ডিজেলে পাম্প চালিয়ে কৃত্রিম সেচের ব্যবস্থা করে চা বাগান রক্ষার মরিয়া চেষ্টা চালালেও লাভ হয়নি। উলটে অনেকেই ঋণের (Loan) জালে জড়িয়েছেন। ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির অন্যতম কর্তা রজত কার্জি জানান, এক একর আয়তনের চা বাগানে সেচ দিতে মাসে ৪০ হাজার টাকা বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। সব চাষিদের পক্ষে ওই ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। তাঁরা বাধ্য হয়ে ঋণ নিচ্ছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলী সন্ত্রাসে ঠান্ডা জল ঢালবে বিজেপি’, সুকান্তর সঙ্গে পান্তাভাতে মধ্যাহ্নভোজ সেরে হুমকি দিলীপের]

উত্তরে ছোট চা বাগান রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ওই শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে অন্ত্যত দুলক্ষ পরিবার। কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর জেলা এবং শিলিগুড়ি মহকুমার ৪১ হাজার হেক্টর এলাকা জুড়ে ছোট চা বাগান রয়েছে। তাপদাহে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ হাজার হেক্টর এলাকার চা বাগান। প্রায় ১০ হাজার হেক্টর এলাকার চা বাগান ঝলসে পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১২ লক্ষ টাকা। এখানেই শেষ নয়। চা চাষি সংগঠনের কর্তারা আশঙ্কা করছেন তাপদাহের পরিস্থিতিতে এবার চা পাতা উৎপাদন ৪০ শতাংশ কম হবে।

আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা জন্য ফার্স্ট ফ্ল্যাসের পর সেকেন্ড ফ্ল্যাসেও চা শিল্পে মন্দার ছায়া প্রসারিত হতে দিশাহারা চা চাষিরা। অনেকে চা বাগানের আশা একরকম ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ, কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি শুরু হলেও ঝলসে যাওয়া চা গাছ স্বাভাবিক হতে কয়েক মাস সময় চলে যাবে।

[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্তে SET গঠন, শ্লীলতাহানির অভিযোগ ‘অবিশ্বাস্য’, দাবি জেলবন্দি পার্থর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement