১৭ অগ্রহায়ণ  ১৪৩০  শনিবার ২ ডিসেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

টিস্যু কালচারে কলা চাষে সাফল্য, ব্যাপক আয় কৃষকদের

Published by: Sayani Sen |    Posted: November 23, 2018 9:25 pm|    Updated: November 23, 2018 9:25 pm

Techniques for banana cultivation

অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে কলা চাষ পিছিয়ে পড়া ডোমকল মহকুমায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই মুহূর্তে মহকুমার চারটি ব্লকের প্রায় সাত হাজার বিঘা জমিতে এই পদ্ধতিতে কলা চাষ করছেন কৃষকরা। 

[লক্ষ্মীলাভে ড্রাগন ফ্রুটই নয়া দিশা কালনার কৃষকদের]

বিষয়টি একদিনে সম্ভব হয়নি। প্রচেষ্টা করেছিলেন উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিকরা৷ দিনের পর দিন মাঠে মাঠে ঘুরে প্রশিক্ষণ দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষেত্র প্রদর্শনী তৈরি করে লাভের মুখ দেখানোর ফলেই এই চাষের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে কৃষকদের, দাবি ডোমকলের সহকারী উদ্যানপালন অধিকর্তা সঞ্জয় দত্তর। তিনি জানান, নবাবি জেলা মুর্শিদাবাদ আম আর লিচু চাষের জন্যই বিখ্যাত। বিষয়টি প্রমাণিত সত্য। কৃষকরা সেটা ব্যবসায়িক ভিত্তিতে চাষ করে প্রমাণ দিয়েছেন। কিন্তু পরিবর্তনশীলতার যুগে প্রতিনিয়ত প্রথা ভেঙে নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করে এগিয়ে যাওয়ার ধারা রচনা করা হচ্ছে। কলা চাষের ক্ষেত্রে তা হবে না, এটা ভাবাই ঠিক নয়। তাই কলা চাষেও নতুন পদ্ধতি এসেছে। যাকে টিস্যু কালচার পদ্ধতি বলা হচ্ছে।

[গমের পরিবর্তে মুসুর-সরিষা চাষই নয়া দিশা কৃষকদের]

যে পদ্ধতিতে ল্যাবরেটরিতে ওই চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। যার ফলে এটি রোগমুক্ত। ফলে এই চাষে ক্ষতিকারক রাসায়নিক সার, বিষ প্রয়োগের মাত্রাও কমে যায়। যা পরিবেশকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে। জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে পর্যন্ত এই কলাচাষ নিয়ে ডোমকল মহকুমার কৃষকদের মধ্যে কোনও ধারণা ছিল না। এমনকী, কৃষকরা প্রথাগত চাষের বাইরে আসতেও রাজি ছিলেন না। কিন্তু গত ২-৩ বছর ধরে আত্মা প্রকল্পের সহায়তায় ব্লকে ব্লকে ঘুরে এই চাষ পদ্ধতি নিয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে ক্ষেত্র প্রদর্শনী তৈরি করে লাভ দেখানো গিয়েছে। তারপরেই কৃষকরা  টিস্যু পদ্ধতিতে কলাচাষে উদ্যোগী হয়েছেন। জি-নাইন পদ্ধতির এই গাছ অধিক ফলনশীল। তাছাড়া, আকারে ছোট হওয়ায় তা ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে।

[পরিবেশবান্ধব এগ্রি টেক্সটাইল ব্যাগেই দাগহীন কলা চাষে সাফল্য]

এই পদ্ধতিতে চাষ করে ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছেন জলঙ্গির সাদিখাঁর দিয়াড় মাঠে। সেখানে আবদুল হান্নান নামের এক যুবক বন্ধুর সঙ্গে মাঠের ২২ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ওই চাষ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই তা থেকে ফসল উঠতে শুরু করেছে। ২২ বিঘা জমিতে আট হাজার ৮০০টি কলা গাছ রয়েছে। গোড়া থেকে আরও নতুন গাছ হচ্ছে। সহকারি উদ্যানপালন অধিকর্তা সঞ্জয় দত্ত সম্প্রতি ওই জমিতে গিয়ে কলার পরিচর্যা নিয়ে আরও একবার প্রশিক্ষণ দেন। তিনি জানান, প্রথম বছরেই হান্নান সাহেবরা ভাল টাকা লাভ করবেন। বিষয়টি নিয়ে হান্নান সাহেবরা আশাবাদী বলেও সহকারি উদ্যানপালন অধিকর্তা।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে