সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষাকালে মাছের নানা রকমের রোগ দেখা দেয়। তাই এ সময় পুকুরে প্রচুর পরিমাণে চুন দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা। এ সময় মাছের শরীরে এক রকম দাগ দেখা যায়। এমনকী মাছের পুচ্ছও খসে পড়ে।
[বর্ষায় দক্ষিণ দিনাজপুরে জোরকদমে চলছে আমন ধানের চারা রোপণ]
বর্ষার শুরুতেই মাছের চারা ফেলা হয়। মাছ ফেলার আগে পুকুরের সমস্ত নোংরা জল বের করে দিয়ে নতুনভাবে পুকুরে জল ভরতে হবে। মাঝে-মধ্যে চুন দিতে হবে। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘এ সময় মাছের শরীরের দাগ ছাড়াও ফুলকার রোগ দেখা দেয়। প্রথমে ফুলকায় কালো দাগ দেখা দেওয়ার পর ধীরে ধীরে পুরো ফুলকাই পচে যায়। এই রোগে খুব দ্রুত পুকুরে ছড়িয়ে পড়ে। ফুলকা পচা রোগে বেশিরভাগ মাছই মারা যায়।’’
[মাছে কি ফরমালিন? জারিজুরি ধরা পড়বে একটুকরো কাগজেই]
মাছের বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই পুকুর পরিষ্কার রাখতে হবে। পুকুরের কচুরিপানা তুলে ফেলতে হবে। বর্ষার সময় অন্য পুকুর থেকে রোগগ্রস্ত মাছ যাতে পুকুরে ঢুকতে না পারে সেদিকেও নজর দিতে হবে। আবার মাছ যাতে পুকুর থেকে বেড়িয়ে যেতে না পারে, তার ব্যবস্থাও করতে হবে।
[একশো দিনের প্রকল্পের অধীনেই বর্ষাকালীন টমেটো চাষে লাভের মুখ দেখছে কাঁকসা]
এই অবস্থায় আক্রান্ত মাছগুলিকে তুলে তুঁতে মেশানো জলে অল্প সময় রেখে পুকুরে ছেড়ে দেওয়া উচিত। পুকুরের জলে অ্যান্টি-বায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। পুকুরে নোংরা জল ঢুকে গেলেও মাছের রোগ দেখা দিতে পারে। তাই বর্ষার আগে পুকুরের পাড় ভালভাবে বাঁধাতে হবে। অনেক সময় ধানের জমির বিষ জল পুকুরে ঢুকে যায়। চুন ছড়ানো হলে পুকুরের জল অনেকটাই পরিষ্কার থাকে।
[বর্ষার মরসুমে ছোট মাছ চাষে বাড়ছে কর্মসংস্থানের সুযোগ]
এই রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া খুব মুশকিল। অনেক সময় পুকুরের সব মাছ এতে মারা যায়। মৎস্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতেও পুকুরে চুন প্রয়োগ করতে হবে। তাছাড়া বাজার চলতি বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-বায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করলেও ধ্বংসাত্মক এই রোগের হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যায়।