Advertisement
Advertisement
পদ্ম

বৃষ্টির অভাবে শুকোচ্ছে পদ্ম, শারদোৎসবে পর্যাপ্ত ফুল না পাওয়ার আশঙ্কা

কাটোয়া-সহ বিভিন্ন এলাকার পুকুরগুলিতে পদ্মচাষের বেহাল দশা, চিন্তায় চাষিরা৷

Wetlands dry up due to rain scarcity, Lotus agriculture hits in Katwa
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 30, 2019 8:08 pm
  • Updated:August 1, 2019 2:37 pm

ধীমান রায়, কাটোয়া: নামেই বর্ষাকাল। বৃষ্টি নেই। মাঠঘাট শুকিয়ে কাঠ। পুকুরের জলও কার্যত শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে পদ্মচাষের উপর এর প্রভাব পড়েছে। দুর্গাপুজো প্রায় আসন্ন। এই পরিস্থিতিতে পদ্মচাষে এমন দুরবস্থা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ শারদোৎসবের মরশুমে প্রয়োজনীয় পরিমাণে পদ্মের যোগান নিয়ে চিন্তিত চাষিরা৷ দুর্গাপুজোয় পদ্মফুলের আকাল হতে পারে, এমনই মনে করছেন পদ্মচাষি ও ফুল বিক্রেতারা।

[আরও পড়ুন: কাটমানি ফেরত চেয়ে কল্যাণের বিরুদ্ধে অশ্লীল পোস্টার, চাঞ্চল্য শ্রীরামপুরে]

মাসদুয়েক পরেই দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরির কাজে ইতিমধ্যে অনেক পুজোকমিটিই নেমে পড়েছে জোরকদমে৷ দেবীর পুজোয় পদ্মফুল অপরিহার্য উপকরণ। সন্ধিপুজোয় ১০৮টি পদ্মফুল দেবী দুর্গাকে অর্ঘ্য দেওয়ার রেওয়াজ। তাই শারদোৎসবই পদ্মচাষিদের মূল উপার্জনের সময়। দুর্গাপুজোর চাহিদার দিকেই সারাবছর তাকিয়ে থাকেন তাঁরা৷

Advertisement

পুজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই পুকুর বা দিঘি থেকে পদ্মের কুঁড়ি তুলে রাখতে শুরু করেন চাষিরা। তারপর বাজারে বিক্রি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম, কাটোয়া, আউশগ্রাম, ভাতার-সহ একাধিক এলাকায় কমবেশি পদ্মচাষ হয়ে থাকে। চাষিরা আগে থেকেই পুকুরগুলিতে চাষের জন্য লিজ নিয়ে থাকেন। মাছচাষের পাশাপাশি ওই সমস্ত পুকুরে পদ্মচাষ হয়। সারাবছরই কমবেশি ফুল হয়। তবে ফুলের মূল মরশুম শরৎকাল। শারদোৎসবের সময়ে চাষিরা পারিবারিক পুজো বা সর্বজনীন পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে আগে থেকে চুক্তি করে নিয়ে পদ্মফুল সরবরাহ করেন।

Advertisement

চাষিরা জানাচ্ছেন, এবছর কম বৃষ্টির কারণে পদ্মচাষে আকাল৷ পুকুরগুলির জল শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে পদ্মগাছ অনেক শুকিয়ে গিয়েছে। যেটুকু অংশে জল রয়েছে তাতে ফুল হচ্ছে কম। মঙ্গলকোটের জাগেশ্বরডিহি গ্রামের পদ্মচাষি লালু সাহা বলছেন,  ‘এমনিতেই কালবৈশাখীর সময় বৃষ্টিপাতে পুকুরে কিছুটা জল জমে। তারপর আষাঢ় মাসে বর্ষায় পুকুর কানায় কানায় ভরে যায়। শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পদ্ম তোলা শুরু হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর বৃষ্টিই প্রায় নেই৷ ফলে এবছর পদ্মের অভাব থাকবেই।’

[আরও পড়ুন: পরীক্ষায় পাস করেও মেলেনি সরকারি চাকরি, অনশনে কর্মপ্রার্থীরা]

কাটোয়ার ফুল ব্যবসায়ী সুজিত বিশ্বাসের কথায়, ‘আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে কমবেশি পদ্মফুল বাজারে আসতে শুরু করে। দুর্গাপুজোর আগে থেকেই ফুল হিমঘরে মজুত রাখা শুরু হয়। কিন্তু এবছর পদ্মফুলের জোগান কম তা এখন থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছে।’ এনিয়ে চিন্তিত পুজো কমিটির কর্মকর্তারাও।

ছবি: জয়ন্ত দাস।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ