সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমে বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০২। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও ২০০। এহেন পরিস্থিতিতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে প্রশাসন।
[মাধ্যমিক থেকে শিক্ষা, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার নিয়ে কড়া সংসদ]
বৃহস্পতিবার রাতে বিষাক্ত চোলাই খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন গোলাঘাটের শালমারা চা-বাগানের কয়েকশো শ্রমিক। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। প্রাণ হারান অনেকেই। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অনেককেই ভরতি করা হয় গোলাঘাট সদর হাসপাতালে। গুরুতর অসুস্থদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় যোরহাট হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু ঘটেছে অনেকেরই। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে অসম সরকার। শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। এদিকে, এই ঘটনার জেরে শনিবার থেকে লালিগুড় নিষিদ্ধ করেছে অসম সরকার। এতদিন পশুখাদ্য হিসেবেই ওই বস্তুটির ব্যবহারের অনুমতি ছিল, কিন্তু ওই লালিগুড় দিয়েই অবাধে চোলাই মদ তৈরি চলছিল। আর তা থেকেই ঘটে বিপত্তি।
চা-শ্রমিকদের একাংশেরও অভিযোগ, অনেক সময় গৃহপালিত পশুদের খাবারও দেশীয় মদ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। যা মানুষের শরীরে বিষের কাজ করে। বেআইনি দেশি মদ বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে বহুবার চা-বাগানের শ্রমিকদের বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্ত, কাজের কাজ যে কিছুই হয় না, তা এই ঘটনাগুলি থেকে প্রমাণিত। এমনিতে চা-বাগান শ্রমিকদের বেশিরভাগই দেশি মদে আসক্ত। অসমের জনসংখ্যার মধ্যে যার পরিমাণ ২০ শতাংশ। দেশের মধ্যে যতটা পরিমাণ চা উৎপাদিত হয় তার ৫০ শতাংশ অসমের। কিন্তু, চা শ্রমিকরা যা মজুরি পান তা জীবনযাপনের পক্ষে যথেষ্ট নয়।
[গারদে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা, কাশ্মীরে পাঠানো হল ১০০ কোম্পানি আধা সেনা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.