সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশ চাইলে কী না পারে! মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় ফের প্রমাণিত। নশংস খুনের ঘটনাটিকে ডাকাতি বলে চালানোরও চেষ্টা হচ্ছিল। হাজারও অসঙ্গতি ছিল ঘটনা পরম্পরায়। যদিও মেঘালয় পুলিশের ১২০ জন কর্মীর পরিশ্রমে ‘অপারেশন হানিমুনে’র রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। ধরা পড়েছেন স্বামী রাজা রঘুবংশীকে হত্যায় অভিযুক্ত স্ত্রী সোনম রঘুবংশী।
গত ২০ মে মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে ঘুরতে যান নবদম্পতি রাজা ও সোনম রঘুবংশী। ২৩ মে চেরাপুঞ্জিতে পৌঁছনোর পর নিখোঁজ হন দম্পতি। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে মেঘালয় পুলিশ। ২৪ বছরের সোনাম এবং তাঁর স্বামীকে খুঁজে বের করতে ২০ জন আধিকারিক একযোগে কাজে নামেন। সূত্রের খবর, গত ৩ জুন পুলিশ নিশ্চিত হয় যে এই হত্যাকাণ্ডে সোনমই জড়িত। ঠিক তার আগের দিন খাসি হিলসের জলপ্রপাতের খাদ থেকে উদ্ধার হয়েছিল রাজার পচাগলা দেহ। তাঁর মাথায় ছিল আঘাতের চিহ্ন।
তদন্ত নেমে রাজ, আকাশ রাজপুত এবং বিশাল সিং চৌহানের খোঁজ পায় পুলিশ। দেখা যায় দম্পতি যেদিন গুয়াহাটি পৌঁছান, তার পরদিন অর্থাৎ ২১ মে এই তিনজন পরিকল্পনা মতো উত্তরপূর্বের শহরে পৌঁছে যান। হত্যাকাণ্ডের আগেও তিন যুবকের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল সোনমের। গুয়াহাটি থেকে শিলংয়ে অস্ত্র আনে আভিযুক্তরা। এরপর ২৩ মে হত্যাকাণ্ড চালায়। কিন্তু পুলিশ কেন সন্দেহ করল সোনমকে?
সমাজমাধ্যমে সক্রিয় দম্পতি মেঘালয় বেড়ানোর কোনও ছবি পোস্ট না করায় সন্দেহ হয় পুলিশের। যদিও খুনের পর রাজার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়–‘সাত জন্মের সঙ্গী’। এতেই সন্দেহ বাড়ে। এরপর হোমস্টের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ফোন ট্র্যাক করে রহস্যের অনেকাংশ উন্মোচন করা সম্ভব হয়। এরপরেও অবশ্য হদিশ মিলছিল না সোনমের। তবে পুলিশি তৎপরতায়, ক্রমাগত চাপে কাজ হয়। সোমবার উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে আত্মসমর্পণ করে সোনম। জিজ্ঞাসাবাদে বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় গ্রেপ্তার করা হয় তরুণীকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.