সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের ২০টি সবচেয়ে দূষিত শহরের মধ্যে ১৪টিই ভারতের। বুধবার ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গ্যানাইজেশনের (WHO) প্রকাশিত তালিকা চিন্তায় ফেলে দেওয়ার মতোই।
তালিকায় সবার উপরে নাম রয়েছে কানপুরের। তারপর রাজধানী দিল্লি, বারাণসী, গোয়ালিয়র, মুম্বইয়ের মতো শহরগুলি নাম রয়েছে। বাতাসে টক্সিনের উপস্থিতির ভিত্তিতে শহরগুলিকে ‘দূষিত শহর’-এর তকমা দিয়েছে হু (WHO)। তাদের তরফে বলা হয়েছে, এই সব শহরে দশজনের মধ্যে ন’জনই চড়া মাত্রায় দূষিত বাতাসে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। কিন্তু কেন দেশে লাগামছাড়া দূষণের মাত্রা? শিল্প, যানবাহন, কয়লা কারখানার শক্তির অপব্যবহারের জন্যই মূলত বায়ুদূষণ হচ্ছে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ বাড়িতে কয়লার ব্যবহার। আর এর জেরে প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এমনটাই দাবি হু-র। বাতাসে ছোট ছোট কণাগুলিতে থাকে সালফেট, নাইট্রেট এবং ব্ল্যাক কার্বন। যা মানুষের ফুসফুসে পৌঁছে মারাত্মক ক্ষতি করছে।
[বাদামী ছোপ ধরছে তাজমহলে, সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
অন্যান্য দূষিত শহরগুলির মধ্যে রয়েছে ফরিদাবাদ, গয়া, পাটনা, আগ্রা, মুজাফ্ফরপুর, শ্রীনগর, গুরগাঁও, জয়পুর, পাটিয়ালা এবং যোধপুর। কুয়েতের আলি সুবাহ আল-সেলাম এবং চিন ও মঙ্গোলিয়ার কয়েকটি শহরের পরই রয়েছে এই শহরগুলি। হু-র রিপোর্ট বলছে, এর থেকেই মানুষ হার্টের রোগ, ফুসফুসে ক্যানসার, নিউমোনিয়া-সহ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রতিবছর বিশ্বে ৭০ লক্ষ অকাল মৃত্যুর মধ্যে ৩৮ লক্ষ মৃত্যুর কারণই বাড়ির ভিতরের দূষণের কারণ বলে জানাচ্ছে হু। রান্নার জন্য এখনও ভারতের অনেক শহরেই কয়লা ব্যবহার করা হয়। যার ফলে বায়ুদূষণ বাড়ে। এই প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উজ্জ্বল যোজনার প্রশংসা করেছে হু। তাদের মন্তব্য, তিন কোটি ৭০ লক্ষ দরিদ্র মহিলাকে বিনামূল্যে এলপিজি গ্যাস দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। যা দূষণ রোধে অনেকটাই সাহায্য করবে। ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ৮০ মিলিয়ন ঘরে সেই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে হু-র তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও এক হাজারটি শহর। যাদের মধ্যে অনেকেই দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশের শহরগুলিতেই বায়ুদূষণের মাত্রা সর্বাধিক।