সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এক বিবৃতি। যাকে ঘিরে আগুন জ্বলল আসামের ডিমা হাসাও জেলায়। বিক্ষোভ সামলাতে গুলি চালাল পুলিশ। মৃত্যু হল দুজনের।
[ফের প্রকাশ্যে পাক সেনার কাপুরুষতা, গুলিবিদ্ধ ৩ নিরীহ নাগরিক]
ঠিক কী থেকে অশান্তির সূত্রপাত। আরএসএস জানায়, ডিমা হাসাও জেলা নাগাল্যান্ডে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। তার ফলে বৃহত্তর নাগাল্যান্ড তৈরি হবে। নাগা শান্তি চুক্তির খসড়ায় এই কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে নাগাল্যান্ড। সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকে উত্তপ্ত হতে থাকে এই পাহাড়ি জেলা। গত বৃহস্পতিবার মাইবং রেল স্টেশনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। তার মধ্যে দু’জন পরে মারা যান। দুই পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়। সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন বনধ ঘিরে নতুন করে অশান্তি না হলেও উত্তেজনা রয়েছে। ডিমা হাসাও জেলায় ডিমাসা উপজাতিদের বাস। তাঁদের জমি নাগাল্যান্ডে চলে যেতে পারে। চুক্তির খসড়ার খবরে এখন রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন কোনও স্বশাসিত বোর্ডও তারা মানবেন না।
[ভোটের আগে কল্পতরু সিদ্দারামাইয়া, বাড়ছে সরকারি কর্মীদের বেতন ও ছুটি]
অসম পুলিশের ডিজি মুকেশ সহায় জানান, দুই বিক্ষোভকারীর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। তবে অবস্থা এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে গুলি চালানো ছাড়া পুলিশের আর কোনও উপায় ছিল না। পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সাধারণতন্ত্র দিবসও ঠিকমতো পালন হয়। তবে সহজে মচকাচ্ছেন না ডিমা হাসাও জেলার বাসিন্দারা। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে তাঁরা ফের বনধের ডাক দিয়েছেন। শনিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার বনধ চলছে ওই জেলায়। নতুন করে যাতে অশান্তি না হয় তার জন্য ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। নামানো হয়েছে পুলিশ। স্বয়ং ডিজি রয়েছেন ঘটনাস্থলে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য রাজ্যে অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা ওই জেলার বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন ধরে করে আসছেন। নতুন করে এই ইস্যু আবার প্রকাশ্যে আসায় প্রশাসনের ব্যর্থতার দিকে তারা আঙুল তুলেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.