ছবি প্রতীকী
অর্ণব আইচ: মাস কয়েক আগেই মদ, মাদক ও মোবাইল ফোন পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন জেলেরই চিকিৎসক। জেল কর্তারা ভেবেছিলেন এবার হয়তো জেলের ভিতরে মদ, মাদক ও মোবাইল ফোন সরবরাহে রাশ টানা যাবে। কিন্তু কোথায় কী। ফের জেল থেকে উদ্ধার অন্তত ২০টি মোবাইল ফোন। আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে মোবাইল ফোনগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় নতুন করে চিন্তার ভাঁজ জেল কর্তাদের কপালে।
কেননা, এই ঘটনাই প্রমাণ করে সর্ষের মধ্যেই রয়েছে ভূত। অর্থাৎ আলিপুর জেলের কারারক্ষী বা অন্য কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা এক প্রকার নিশ্চিত জেল কর্তারা। কিন্তু জেলের গেটে কঠোর পাহারা সত্ত্বেও ভিতরে কীভাবে মোবাইলগুলি পৌঁছাত? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার সর্ষের মধ্যে থাকা ভূতকেই চিহ্নিত করতে তৎপরতা শুরুর কথা ভাবছেন জেল কর্তৃপক্ষ।
[নিঃসঙ্গ রবীন্দ্রনাথকে নতুন করে চেনাল লা মার্টস বয়েজের পড়ুয়ারা]
জেল কর্তারা জানতে পেরেছেন, প্রথমে একটি কাপড়ে মোড়া হত মোবাইলগুলি। তারপর কাপড়ে মোড়া ফোন বাইরে থেকে ছুড়ে দেওয়া হত জেলের ভিতরে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬.৩০ নাগাদ আলিপুর জেলের দু’নম্বর গেটের কাছে টাওয়ারের সামনে একটি প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখেন রক্ষীরা। সন্দেহ হওয়ায় প্যাকেটটি খুলতেই দেখা যায়, তাতে নতুন ছ’টি মোবাইল। মোবাইলগুলি অবশ্য সাধারণ। স্মার্টফোন নয়।
জেল কর্তারা জানাচ্ছেন, আগেও এভাবে মাদক ও মদ বাইরে থেকে জেলের ভিতর পাঠানো হত। কিন্তু ইদানীং জেলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর হয়ে গিয়েছে। তাই বাইরে থেকে ছুঁড়েই দেওয়া হচ্ছে মোবাইল। এটা নতুন পদ্ধতি। সাধারণত চারটি স্তরে তল্লাশির পরে জেলের মূল অংশে আসতে পারে বন্দিরা। ফলে লুকিয়ে সামগ্রী নিয়ে ঢুকলে তার ধরা পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে ছ’টি মোবাইল উদ্ধারের পরই জেলে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তল্লাশির জেরে আরও ১৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.