সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে তা মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করে পোস্ট করে দেওয়া হল সোশ্যাল সাইটে। গত শুক্রবার মুজাফ্ফরপুরে এমনই শিউরে ওঠা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনা কাটরা থানার নওয়াদা গ্রামের। দশেরার দিন মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে চার যুবক অপহরণ করে ১৪ বছরের কিশোরীকে। তারপর গণধর্ষণ করে তার ভিডিও রেকর্ড করা হয়। এমনকী নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের মুখ বন্ধ রাখার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত চার যুবকের মধ্যে সোমবার রাত ১১টা নাগাদ বক্সি চক এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত গগন কুমার ও অনীশ কুমারের বয়স ২১ বছর। শচীন কুমার বয়সে তাদের থেকে এক বছরের ছোট। মঙ্গলবারই তাদের আদালতে পেশ করার কথা। এমনটাই জানান বিহারের ডিজিপি পিকে ঠাকুর। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটজনকে আটক করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এদের মধ্যেই কয়েকজন অভিযুক্তদের পালাতে মদত করেছিল। চতুর্থ অভিযুক্ত রোশন কুমারের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
[লঙ্কেশ খুনের প্রতিবাদে জাতীয় পুরস্কার ফেরানোর কথা অস্বীকার প্রকাশ রাজের]
এখানেই শেষ নয়, গোটা ঘটনায় পঞ্চায়েতের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কারণ গণধর্ষণের পর নির্যাতিতা এবং অভিযুক্তদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল পঞ্চায়েতে। সেখানেই পুলিশকে অভিযোগ না জানিয়ে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় উভয়পক্ষকে। গ্রামের মান রক্ষার জন্যই নাকি এমন পরামর্শ দিয়েছিলেন সেখানকার প্রধান। কিন্তু পুলিশের দাবি, গোটা ঘটনাকে আইনের চোখ থেকে লুকিয়ে রাখতেই এমন প্রয়াস করা হয়েছিল। যদিও সেই বৈঠকে কোনও লাভ হয়নি। মুজাফ্ফরপুরের সিনিয়র এসপি বিবেক কুমার জানান, পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল দল নাবালিকার পরীক্ষা করেছেন। যাতে তার অভিযোগ সঠিক বলেই প্রমাণিত। পাশাপাশি কিশোরীর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। এমন চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতিতে কড়া হাতে অপরাধ দমনে নেমেছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনা ফের নারীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।