সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার বছরের এক শিশুকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে ‘আটক’ করল দিল্লি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ক্লাসেরই এক ছাত্রীর গোপনাঙ্গে আপত্তিজনকভাবে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ‘নিগৃহীতা’ ছাত্রীর বাবা-মায়ের এফআইআর ভিত্তিতে ওই চার বছরের শিশুকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রী তার মাকে জানায়, অভিযুক্ত সহপাঠী আঙুল ও ধারালো পেনসিল দিয়ে যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। তার মায়ের অভিযোগ, এর ফলে মেয়েটির গোপনাঙ্গে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
[টুকলি করতে গিয়ে ধরা পড়ে আত্মঘাতী ছাত্রী, রণক্ষেত্র চেন্নাইয়ের বিশ্ববিদ্যালয়]
দ্বারকার একটি স্কুলের এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে রাজধানীতে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কোন পথে যাচ্ছে শৈশব? অভিভাবকদের একাংশ আবার এই ঘটনাকে যৌন নিগ্রহ বলতে নারাজ। তাঁদের দাবি, শিশুরা নেহাত কৌতূহলী হয়েও বিপরীত লিঙ্গের যৌনাঙ্গে হাত দিতে পারে। এই প্রবণতা রুখতে পুলিশ নয়, অভিভাবকদেরই সচেতন হতে হবে বলে তাঁদের অভিমত। মনোবিদদেরও বক্তব্য, ৪ বছরের শিশুর যৌন আকাঙ্খা থাকা সম্ভব নয়, যা পূরণ করতে এ কাজ করতে পারে সে।
ঠিক কী ঘটেছিল দিল্লির ম্যাক্সফোর্ট স্কুলে?
পুলিশ জানাচ্ছে, গত শুক্রবার স্কুলেরই চার বছরের এক ছাত্র তার এক সহপাঠীর গোপনাঙ্গে হাত দেয়, আঘাত করে। আক্রান্ত ছাত্রী ভয়ে, কুন্ঠায় প্রথমে তার অভিভাবকদের কিছু না বললেও ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিল। পরে সে তার বাবা-মাকে গোটা ঘটনার কথা খুলে বলে। ছাত্রীটি জানায়, ক্লাসের এক ছাত্র তার প্যান্ট খুলে গোপনাঙ্গে আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। গোটা ঘটনাটাই স্কুল চলাকালীন ঘটে। ছাত্রীটি সেই সময় সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ।
Parents registered a case of sexual assault of their 4-year-old daughter by her classmate at a school in Delhi’s Dwarka
— ANI (@ANI) November 22, 2017
সন্তানের কাছে শিউরে ওঠার মতো এই ঘটনার কথা জানতে পেরেই অভিযুক্ত চার বছরের ছাত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন ছাত্রীর অভিভাবকরা। এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও নজরদারিতে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশে। ঘটনায় আক্রান্ত ছাত্রী বা অভিযুক্ত ছাত্রটির কোনও পরিচয় জানাতেই অস্বীকার করেছেন স্কুলের প্রিন্সিপাল। ছাত্রীটিকে তার মা-বাবা রকল্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে যৌন নিগ্রহের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। এরপরই দ্বারকা পুলিশ স্টেশনে চার বছরের ওই শিশুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত ছাত্রীর অভিভাবকরা। এই ঘটনায় একটি মামলাও রুজু হয়েছে।