BREAKING NEWS

২২ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  মঙ্গলবার ৬ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে জন্ম রূপকথার ‘মৎস্যকন্যা’র, ১৫ মিনিট পরেই মৃত্যু

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: May 22, 2018 5:03 pm|    Updated: May 22, 2018 5:03 pm

A child born in Maharashtra with Sirenomelia

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিজনির দ্য লিটল মারমেডের দৌলতে মৎস্যকন্যার কথা কারওর অজানা নয়। ঠিক তেমনই একটি শিশু জন্মাল মহারাষ্ট্রে। ডাক্তারি ভাষায় এর নাম সিরেনোমেলিয়া। মারমেড সিনড্রোম নামে এটি পরিচিত।

মহারাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে এই শিশুর জন্ম হয়েছে। তার পা দুটি জোড়া। মাছের লেজের মতো। কিন্তু দুঃখের বিষয় শিশুটি বেশিক্ষণ বাঁচেনি। মাত্র ১৫ মিনিট পর সে মারা যায়। স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় বানসোরে জানান, মারমেড সিনড্রোমে আক্রান্ত ওই শিশুর জন্ম হয় মহারাষ্ট্রের অম্বাযোগাইয়ের রামানন্দ তীর্থ গ্রামীণ সরকারি হাসপাতালে। এই ধরনের শিশুরা সাধারণত খুব বেশি বাঁচে না। এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। শিশুটি জন্মের ১৫ মিনিটের মধ্যে মারা যায়।

[ ৩০ ও ৩১ মে ব্যাংক ধর্মঘট, ভোগান্তি এড়াতে আগেভাগেই বেতন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ]

গ্রামীণ হাসপাতালে শিশুটির জন্ম দেন দীক্ষা কাম্বলে। তাঁর বয়স ২৫ বছর। তিনি ও তাঁর স্বামী আখের খেতে কাজ করেন। মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার পর তাঁকে লেবার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি শিশুটির জন্ম দেন। জন্মের পর শিশুর ওজন ছিল ১.৮ কেজি। সঞ্জয় বানসোরেই ওই মহিলার প্রসব করান। তিনি বলেন, শিশুটি মাছের মতো শরীর নিয়ে জন্মায়। তার হাতগুলো মাছের পাখনার মতো ছড়ানো। শিশুটির দেহের উর্ধ্বাংশের গঠন ঠিকই ছিল। কিন্তু নিম্নাংশ ছিল জোড়া। চিকিৎসকের মতে, শিশুটির দেহ সম্পূর্ণ হয়নি। দেহ এতটাই অসম্পূর্ণ যে সে নারী না পুরুষ, তাই বোঝা যায়নি।

[ সম্প্রীতির অনন্য নজির, হিন্দু ভাইয়ের প্রাণ বাঁচাতে রোজা ভাঙলেন মুসলিম যুবক ]

তবে শিশুর মা দীক্ষা এখন সুস্থ রয়েছেন। এমনিতে তাঁর মৃত্যু বা অন্যান্য সমস্যার কোনও আশঙ্কা নেই। চিকিৎসক জানিয়েছেন, গর্ভবতী হওয়ার আটমাস পর তিনি সোনোগ্রাফি পরীক্ষা করান। কিন্তু গর্ভাবস্থায় তিনি কোনও ওষুধ খাননি। সিরেনোমেলিয়া একটি জীবন হানিকর রোগ। এক্ষেত্রে রোগীর পা দুটো একসঙ্গে জুড়ে যায়। এটি মাছের লেজের মতো দেখতে লাগে। গর্ভের ভিতরেই অপুষ্টির কারণে এমন শিশুর জন্ম হতে পারে।

ছবি- প্রতীকী

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে