সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে ডেস্ক: দেশজুড়ে নিন্দিত রণবীর এলাহাবাদিয়াকে রক্ষাকবচ এনে দিয়েছে তাঁর ক্ষুরধার যুক্তি। তারপর থেকেই চর্চায় অভিনব চন্দ্রচূড়। তাঁর বাবা, ঠাকুরদা দুজনেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। সবমিলিয়ে তরুণ আইনজীবীকে নিয়ে আলোচনা জনমানসে।
গত নভেম্বর পর্যন্ত দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর বাবা যশবন্ত বিষ্ণু চন্দ্রচূড় ওরফে ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ও ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেই পরিবারেরই উত্তরসূরি অভিনব। ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের পুত্র অভিনব ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের গভর্নমেন্ট ল কলেজ থেকে এলএলবি পাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাঙ্ক করেছিলেন তিনি। সংসদীয় আইন নিয়ে বিশেষ পুরস্কারও পান। পরের বছর এলএলএম পড়তে তিনি পাড়ি দেন হার্ভার্ড ল স্কুলে। সেখানেও একের পর এক সম্মান পেয়েছেন অভিনব।
পড়াশোনা শেষে আইনজীবী হিসাবে কাজ করার পাশাপাশি একাধিক বইও লিখেছেন তিনি। বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ল ফার্ম ‘গিবসন, ডান এবং ক্রাচার’এ কাজ করেছেন অভিনব। তার পরে কাজ শুরু করেন ভারতের আদালতে। আপাতত বম্বে হাই কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অভিনব। কিন্তু বাবা যতদিন সুপ্রিম কোর্টে ছিলেন, ততদিন শীর্ষ আদালতে কোনও মামলা লড়েননি তিনি। অভিনবের যুক্তি ছিল, বাবা বিচারপতি বলেই তিনি শীর্ষ আদালতে লড়বেন না।
রণবীরের মামলাটি নিয়েই প্রথমবার সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছেন অভিনব। আর সেখানেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কুরুচিকর মন্তব্য করে দেশজুড়ে ‘ভিলেন’ তকমা পাওয়া রণবীরের হয়ে ক্ষুরধার যুক্তি সাজিয়েছেন অভিনব। শীর্ষ আদালতে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলের থেকে অনেক বেশি ন্যক্কারজনক মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির তৎকালীন মুখপাত্র নুপূর শর্মা। এমন সওয়ালের পরেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, রণবীরকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না কোনও পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও অভিযোগও দায়ের করা যাবে না। যারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতিও পেয়েছেন রণবীর। সবমিলিয়ে, রণবীরকে ট্রোলের মাঝেই নেটিজেনরা আলোচনা করছেন তাঁর আইনজীবী অভিনবকে নিয়েও। শেষ পর্যন্ত অভিনবের যুক্তির ধারে ‘ক্লিনচিট’ পাবেন রণবীর?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.