Advertisement
Advertisement

প্রেম দিবসে বাগদান সারলেন অ্যাসিড আক্রান্ত তরুণী

পূর্ণতা পেল ভালবাসা।

Acid attack victim ties knot on Valentine’s Day in Odisha

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 15, 2018 9:16 am
  • Updated:September 16, 2019 5:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরীক্ষা দিয়ে ফিরছিলেন। হঠাৎই গায়ে-মুখে এসে পড়ে অ্যাসিড। কারণ, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত এক যুবক নিজের জিঘাংসা পূরণ করেছিল ওই ঘৃণ্য কাজটি করে। শুধু ঝলসেই যাননি প্রমোদিনী নামে ওই তরুণী। হারিয়ে ফেলেছিলেন দৃষ্টিশক্তিও। ন’বছর আগে ঘটেছিল সেই ঘটনা। কিন্তু অ্যাসিড-আক্রান্ত বছর পঁচিশের প্রমোদিনী সেই ঘটনার পর পাশে পেয়েছিলেন এক বন্ধুকে। নাম সরোজ সাহু। পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ। বুধবার, ভালবাসার দিনে সেই সরোজের সঙ্গেই বাগদান সারলেন তিনি। সারাজীবন একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকারও করলেন। আক্ষরিক অর্থেই এদিন পালিত হল প্রমোদিনী এবং সরোজের জীবনের সেরা ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’। ঘটনাটা কী ঘটেছিল?

সময় ২০০৯ সাল। অকুস্থল ওড়িশার জগৎপুর। পরীক্ষা দিয়ে যখন প্রমোদিনী কলেজ থেকে ফিরছিলেন, তখনই তাঁর উপর অ্যাসিড হামলা চালিয়েছিল এক স্থানীয় যুবক। শরীরের ৮০ শতাংশ জ্বলে গিয়েছিল তরুণীর। চলে গিয়েছিল দৃষ্টিশক্তিও। অন্ধকার নেমে এসেছিল প্রমোদিনীর জীবনে। এই শারীরিক এবং মানসিক আঘাত সামলে ওঠা সহজ ছিল না প্রমোদিনীর পক্ষে। তার উপর পরিবারে ছিল চরম আর্থিক অনটনও। ফলে অর্থের অভাবে টানা ন’মাস সরকারি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। পাঁচ বছর ধরে শয্যাশায়ী থাকার পর ২০১৪ সালে প্রমোদিনীকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

ঠিক এখানেই পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ সরোজের সঙ্গে আলাপ হয় প্রমোদিনীর। সরোজের সাহচর্যেই মানসিক ধাক্কা অনেকটা সামলে ওঠেন ওই তরুণী। তাঁকে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর দায়িত্ব সরোজ নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন। আর তা, সুষ্ঠুভাবে পালনও করেছিলেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা যেখানে প্রমোদিনীকে বলেছিলেন, যে সুস্থ হয়ে উঠতে তাঁর দশ মাস সময় লাগবে। সেখানে সরোজের নিরন্তর প্রচেষ্টায় মাত্র চার মাসেই এই অসাধ্য সাধন করে দেখান সরোজ। বন্ধুর সেবা-যত্নে ২০ শতাংশ দৃষ্টিশক্তিও ফিরে পান প্রমোদিনী। এর পর ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, প্রেমদিবসে প্রমোদিনীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সরোজ। ‘হ্যাঁ’ বলা সহজ ছিল না অ্যাসিড হামলা আক্রান্ত প্রমোদিনীর পক্ষে। কারণ, স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মনে হয়েছিল, তাঁর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা বিবাহ-পরবর্তী সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু, সরোজ চলে যাননি। দু’বছর অপেক্ষা করে বসেছিলেন প্রমোদিনীর ‘হ্যাঁ’ শুনতে। অবশেষে, তা ঘটল। সেই প্রেম দিবসেই বাগদান সারলেন প্রমোদিনী-সরোজ।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ