প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১২ সালের পর তাঁর আর কোনও খোঁজ পায়নি পরিবার। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে নিখোঁজ থাকার পর উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের বাসিন্দার উসমানের খোঁজ মিলল পাকিস্তানের জেলে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এমন তথ্য জানতে পেরে স্তম্ভিত পরিবার। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কীভাবে সেখানে পৌছলেন ৪৬ বছরের উসমান? এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।
পাকিস্তানের জেলে কতজন ভারতীয় বন্দি রয়েছেন সে বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল বিদেশমন্ত্রক। তার প্রেক্ষিতে পাক সরকারের তরফে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে জানানো হয়েছে, অন্যান্য বন্দিদের পাশাপাশি লাহোরের জেলে বন্দি রয়েছে উসমান। গত বছর গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে ২০১২ সাল থেকে কোথায় ছিলেন উসমান?
পরিবারের দাবি অনুযায়ী, এসি মেরামতির কাজ শিখতে ১৯৯৫ সালে বাড়ি ছাড়া হন এই ব্যক্তি। তারপর থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। ২০১২ সালের পর উসমানের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে ওই সময় দিল্লি পুলিশের তদন্তে উঠে আসে উসমানের নাম। অভিযোগ ওঠে, আল কায়েদা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁর। শুরু হয় অভিযুক্তের খোঁজ। যদিও পুলিশও তাঁর কোনও হদিশ পায়নি। এবার পাকিস্তানে খোঁজ মিলল তাঁর। ইতিমধ্যেই সম্ভল পুলিশকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কোথা থেকে কীভাবে উসমান পাকিস্তান গেল তার খোঁজ করতে বলা হয়েছে।
পুলিশের পাশাপাশি গোটা ঘটনায় ধন্ধে উসমানের পরিবারও। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে জঙ্গিযোগ। উসমানের জঙ্গিযোগের কোনও জরালো প্রমাণ না থাকলেও তদন্তে দেখা গিয়েছে সম্ভলের যে দীপা সরাই এলাকার বাসিন্দা উসমান সেখান থেকে এর আগে অনেকেই জঙ্গিদলে নাম লিখিয়েছে। উসমানের এক প্রতিবেশী সানাউল হক ভারতে আল কায়েদার স্লিপার সেলের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৯ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর। এই অঞ্চল থেকে ১০ থেকে ১২ জন নিখোঁজ হয়েছে আগেই। পরে পাকিস্তানে সন্ধান মেলে তাঁদের। এই ঘটনার নেপথ্যে বড়সড় জঙ্গিযোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.