Advertisement
Advertisement
Bangladesh

পাকিস্তানের মতোই বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা চাই, দাবি তুলছে উত্তরপূর্ব

গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তার জল আটকে ভারত বিদ্বেষী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক, উঠছে দাবি।

After Steps Against Pakistan Now Northeast Seeks Similar Move Against Bangladesh
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:April 28, 2025 6:46 pm
  • Updated:April 28, 2025 8:30 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত, আটারি সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্থানিদের ভিসা বাতিল-সহ সাত দফা প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। ইসলামাবাদের অস্বস্তি বাড়িয়ে এই তালিকা বেড়েই চলেছে। এই আবহে দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির দাবি, বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যেহেতু সেখানে বাড়ছে ভারত বিদ্বেষ, অন্যদিকে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে ঢাকা ও ইসলামাবাদ।

গত মঙ্গলবার পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানকে সমস্ত ক্ষেত্রে বয়কট করছে দিল্লি। সোমবারই যেমন ‘ভারতবিরোধী’ যাবতীয় পাক ইউটিউব চ্যানেলগুলিকে ব্লক করে হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাক্তন পাক ক্রিকেট তারকা শোয়েব আখতারও। গোটা দেশে এমন উত্তেজনার পরিবেশে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বক্তব্য, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এখন দুই বন্ধু। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ভারতের। আমার মনে হয়, এই বিষয়ে ভাবছেও দিল্লি। তবে অবস্থা বুঝে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।” হিমন্ত আরও বলেন, “একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আমি কেবল অনুরোধ করতে পারে, সিদ্ধান্ত নেওয়া বা না নেওয়া কেন্দ্রের হাতে। উত্তর-পূর্বের অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারাও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আমি সেই আবেগকে সমর্থন করি।”

Advertisement

একদিন আগে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে একই আওয়াজ তোলেন। গেরুয়া নেতা দাবি করেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন লস্করের সঙ্গে। জঙ্গি অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হলে সীমান্ত সুরক্ষিত করা প্রয়োজন। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার গঙ্গা জলচুক্তি করে ভুল করেছিল।” নেতার মূল বক্তব্য হল, সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির মতোই বাংলাদেশের সঙ্গে যাবতীয় জলবণ্টন চুক্তি বাতিল করা হোক।

দুবের দাবি, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিস্তা জলচুক্তির বিরোধিতা করেছেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও চান না ব্রহ্মপুত্রের একবিন্দু জল বাংলাদেশে যাক। “আর কতদিন দুধ-কলা দিয়ে কাল সাপ পুষব? সাপ মারার সময় এসে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপর ভরসা আছে দেশের মানুষের। নিশ্চয়ই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।” বলেন দুবে।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পাকিস্তানের মতোই বাংলাদেশ নিয়েও চিন্তা করতে হবে দিল্লিকে। শাসক পক্ষের প্রশ্রয়ে সেখানে এখন মৌলবাদীরা ছড়ি ঘোরাচ্ছে। জামাতের মতো কট্টরপন্থীদের পরামর্শে চলছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতবিরোধী জঙ্গিদের জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী ইউনুসের সঙ্গে লস্কর জঙ্গি নেতারা বৈঠক করেছে বলেও খবর। সব মিলিয়ে শেখ হাসিনা গদি হারানোর পর থেকেই ভারতের নতুন মাথা ব্যথার কারণ বাংলাদেশে। অতএব, তাদের বিরুদ্ধে পালটা কঠোর ব্যবস্থা নিলে লাভ হবে ভারতেরই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement