Advertisement
Advertisement
হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ড

পুনর্নির্মাণের সময় পালানোর চেষ্টা, এনকাউন্টারে খতম হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডের ৪ অভিযুক্ত

গত ২৭ নভেম্বর তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করে অভিযুক্তরা।

All four men accused in gang-rape and murder Vet killed In encounter
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 6, 2019 8:30 am
  • Updated:December 6, 2019 9:10 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  পুলিশের গুলিতে খতম হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডের ৪ অভিযুক্ত। শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ সামশাবাদের কাছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই চার অভিযুক্তকে। সেই সময় আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে তারা। পালানো আটকাতে গিয়ে পুলিশ ওই চারজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাতেই মৃত্যু হয় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত চারজনের।

গত ২৭ নভেম্বর হায়দরাবাদের অদূরে সামশাবাদের টোলপ্লাজায় স্কুটি রেখে অন্য এক চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে যান তরুণী। রাত সাড়ে নটা নাগাদ স্কুটি নিতে গিয়ে দেখেন তার চাকা পাংচার হয়ে গিয়েছে। কীভাবে বাড়ি ফিরবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। ইতিমধ্যেই দু’জন যুবক তাঁর কাছে এসে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিছুক্ষণ কথাবার্তার পরেই রাজি হয়ে যান তরুণী। ওই যুবকেরা তাঁর স্কুটি নিয়ে যায়। ফিরে এসে জানায় স্কুটি সারানো সম্ভব হয়নি। তবে তরুণী চিকিৎসককে তারপরেও বাড়ি ফিরতে সাহায্য করার আশ্বাস দেয় ওই যুবকেরা। ঠিক সেই সময় ফোনে বোনের সঙ্গে কথা বলছিলেন তরুণী। তিনি জানান ভয় লাগছে। ইতিমধ্যেই আরও দু’জন যুবক টোলপ্লাজার কাছে জড়ো হয়। ওই চিকিৎসককে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে নির্জন এক স্থানে নিয়ে চলে যাওয়া হয়। সেখানেই চারজন মিলে ধর্ষণ করে তাঁকে। চিৎকার থামাতে মদ্যপান করানো হয়। অত্যাচারে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। লরিতে চড়িয়ে তাঁর দেহ অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। নম্বর প্লেট খুলে ফেলে দেওয়া হয় স্কুটির। পুলিশের দাবি, মৃত্যুর পর ওই লরিতেও তরুণীকে ধর্ষণ করে চার অভিযুক্ত। এরপর পেট্রল ঢেলে ব্রিজের নিচে পুড়িয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে। পরেরদিন ব্রিজের নিচ থেকে গলায় থাকা গণেশের লকেট দেখে তরুণী চিকিৎসকের অগ্নিদগ্ধ দেহ শনাক্ত করেন পরিজনেরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ কাণ্ডের ছায়া মালদহে, গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে খুন তরুণীকে]

এই ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন এবং চিন্তাকুন্টা চেন্নাকেশাভুলু নামে চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আপাতত জেল হেফাজতেই ছিল তারা। শুক্রবার ভোররাতে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় চার অভিযুক্তকে। সেখানে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। তবে সেই সময় পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ।  এনকাউন্টারেই খতম হয় চার অভিযুক্ত। 

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ