স্টাফ রিপোর্টার: দাবি জিইয়ে রেখেও এক দিনের গণছুটি থেকে পিছিয়ে এলেন স্টেশন মাস্টাররা। অল ইন্ডিয়া স্টেশন মাস্টারর্স অ্যাসোসিয়েশন (All India Station Masters Association) নামের স্টেশন মাস্টারদের যে সংগঠন কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তারা নিজেদের দাবিতে অনড় থাকলেও পরিষেবা বন্ধের মতো পদক্ষেপ থেকে আপাতত পিছিয়ে এলেন। ফলে আগামী ৩১ তারিখ তাঁদের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধের যে আশঙ্কা ছিল, তা আপাতত দূর হল।
সেন্ট্রাল অর্গানাইজিং সেক্রেটারি পূর্ব রেলের গার্ড রামআধার প্রাসাদ বলেন, আগামী ৩০ মে দিল্লিতে ডেপুটি চিফ লেবার কমিশনার, রেল বোর্ডের কর্তারা স্টেশন মাস্টার (Station Masters) অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। দাবিদাওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। যদি সমস্যা সমাধানের পথ খোলা না হয় তবে ফের স্বল্পকালীন সময়েই ফের গণছুটির কর্মসূচি নেবে অ্যাসোসিয়েশন।
স্টেশন মাস্টারদের দাবি, দেশজুড়ে ৬ হাজার স্টেশন মাস্টারের পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। ফলে অন্য কর্মীদের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। ছুটি পাচ্ছেন না তাঁরা। বিভিন্ন ভাতা-সহ রাতের ডিউটির ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেফটির মূল পর্বে কাজ করলেও এই সংক্রান্ত সুবিধা পান না। স্টেশন মাস্টারদের (Staion Masters) সংগঠনটির বক্তব্য, সমস্ত শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ, রেলে বেসরকারিকরণ বন্ধ, নাইট ডিউটির ভাতা চালু, উপযুক্ত নিরাপত্তার প্রদানের মতো বেশ কিছু দাবিতে সেই ২০২০ সাল থেকে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। বারবার নানাভাবে কেন্দ্রের কাছে নিজেদের দাবি পেশ করা হলেও, সেটা পূরণ করা হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের দাবি আদায়ের সবরকম চেষ্টা করার পরও লাভ হয়নি। সেকারণেই একদিনের কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। সেটা আপাতত প্রত্যাহার হলেও, আন্দোলন চলবেই।
AISMA নামের সংগঠনটির দাবি, রেলের স্টেশন মাস্টাররা গণছুটি নিলে গোটা পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে। ১৯৯৭ সালে একবার ২ মিনিটের জন্য সব স্টেশন মাস্টার ধর্মঘট করেছিল, তাতেই পরিষেবা স্বাভাবিক হতে ২-৩ দিন সময় লেগে যায়। গোটা দিন যদি স্টেশন মাস্টাররা কাজ না করেন, তাহলে পরিষেবা পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যাবে। সে পথে এখনই হাঁটছেন না স্টেশন মাস্টাররা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.