সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মূর্তি নিয়ে রাজনীতি এখনও অব্যাহত। এবার থেকে সরিয়ে ফেলা হল দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মূর্তি। আর সেই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। যোগী সরকারের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছে কংগ্রেস।
[মোদি বিরোধিতার ‘পুরস্কার’! চন্দ্রবাবু নায়ডুকে গ্রেপ্তারির নির্দেশ]
বৃহস্পতিবার এলাহাবাদের বালসন চৌরাহা থেকে নেহরুর দীর্ঘ মূর্তিটি সরিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু কেন? কর্তৃপক্ষের সাফাই, আগামী বছর জানুয়ারি মাসে এখানেই শুরু হবে কুম্ভ মেলা। তার আগে এলাকার সৌন্দর্যায়নের জন্যই এমন পদক্ষেপ। তবে এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। এভাবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে বলেই সুর চড়িয়েছেন কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীরা। সমাজবাদী পার্টির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল রাহুল গান্ধীর দল। কংগ্রেসের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবেই নেহরুর মূর্তি উৎখাত করা হয়েছে ওই এলাকা থেকে। যে ক্রেনটি দিয়ে মূর্তিটি তুলে সরিয়ে ফেলা হচ্ছিল, সেটি রুখে দেন তাঁরা। এমন ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কাঠগড়ায় তুলে তাঁদের অভিযোগ, ষড়যন্ত্র করেই এমন কাজ করেছে সরকার। নেহরুর আদর্শকে ক্ষুণ্ণ করাই প্রশাসনের উদ্দেশ্য। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে যাওয়ার কথাও শুনিয়ে রেখেছেন তাঁরা।
[গণধর্ষণের শিকার রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত সিবিএসই টপার, অভিযুক্ত ১২]
মূর্তি সরানো প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা মেনে নিতেও নারাজ কংগ্রেস। তাদের পালটা প্রশ্ন, যদি ওই এলাকার সৌন্দর্যায়নের জন্যই নেহরুর মূর্তি উৎখাত করা হয়ে থাকে, তবে একই রাস্তায় বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মূর্তি রাখা হচ্ছে কেন? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এমনকী এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য গোপনই রেখেছে তারা। শুধু জানানো হয়েছে, আপাতত নেহরুর মূর্তির কাছের একটি পার্কে রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিক রাজ্যে মূর্তিকে কালিমালিপ্ত করা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। রাজনৈতিক দলগুলি একে অন্যের কাঁধে দায় চাপানোর চেষ্টাও করেছিল। এবার নেহরুর মূর্তি নিয়েও একই ঘটনার সাক্ষী হল এলাহাবাদ।