Advertisement
Advertisement
অমিত শাহ

‘মমতা-সহ বিরোধীরাই টুকরে টুকরে গ্যাং’, অবশেষে সন্ধান দিলেন অমিত শাহ

বিরোধীরা দেশে দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্র করছে, অভিযোগ শাহর।

Amit Shah tagged opposition as Tukde Tukde gang
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 26, 2020 8:44 am
  • Updated:January 26, 2020 8:44 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর দপ্তর ‘টুকরে টুকরে গ্যাং‘-এর সন্ধান দিতে পারেনি। কিন্তু, এবার তথাকথিত ‘দেশবিরোধী গ্যাং’-এর সন্ধান দিলেন খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর কথায়, “বিরোধীরা দেশে দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্র করছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) থেকে শুরু করে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সপা, বসপা, বামেরা-সহ পুরো বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধেই ‘দাঙ্গা লাগানো’ নিয়ে আঙুল তুলেছেন শাহ। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের জন্য লাগাতার প্রচার চালাচ্ছেন শাহ। শনিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এদিন দলীয় কর্মীদের সভা থেকে শুরু করে একাধিক জনসভা করেছেন তিনি। তবে, এতদিন পর্যন্ত শাহর আক্রমণের লক্ষ্যে শুধুমাত্র দিল্লির প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আম আদমি পার্টি ও দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসই ছিল। এদিন সেইসঙ্গে পুরো বিরোধী শিবিরের দিকেই নিশানা সেধেছেন। বিরোধীদের তিনি ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ বলেও অভিহিত করেছেন।

Mamata-Amit

Advertisement

এদিন শাহ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস, আপ, সপা, বসপা, তৃণমূল এবং বাম দলগুলি দেশকে বিভ্রান্ত করে দাঙ্গা করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। দিল্লিকে অসুরক্ষিত করার পাপ করছে। দিল্লির জনতা জানে দিল্লিতে দাঙ্গা কারা করিয়েছে।” বিরোধীদের দিকে দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তাৎপর্যপূর্ণ। এতদিন পর্যন্ত বিজেপির দিকেই দাঙ্গা লাগানোর অভিযোগ করত বিরোধীরা। এবার তাদের দিকে দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে শাহ পালটা রাজনৈতিক চাল দিলেন বলেই মত বিশেষজ্ঞমহলের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাড়ে ৫ মাস গৃহবন্দি থাকার জেরে এ কী হাল ওমর আবদুল্লার! চমকে গেলেন মমতাও]

অন‌্যদিকে, জেএনইউ (Jawaharlal Nehru University) প্রসঙ্গ উল্লেখ করার সময়েই এদিন শাহ বিরোধীদের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘বিরোধীরা আর কিছুই নয়, টুকরে টুকরে গ্যাং।’’ তাঁর দাবি, একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই এই টুকরে টুকরে গ্যাংকে সামলাতে সক্ষম। এদিন শাহ (Amit Shah) বলেছেন, “বিপক্ষ আর কিছুই নয়, টুকরে টুকরে গ্যাং। দু’বছর আগে জেএনইউর অন্দরে ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে এক হাজার’ স্লোগান উঠেছিল। যারা ভারতকে টুকরো করার কথা বলে তাদের জেলে পোরা উচিত নয় কি? আমরা যখন এদের জেলে পুরেছিলাম তখন রাহুলবাবা আর কেজরিওয়াল বলতেন এটা তাদের অভিব্যক্তির আজাদির অধিকার। দেশ বিরোধী শক্তিদের যদি কেউ সামলাতে পারে তবে তিনি হলেন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।”

[আরও পড়ুন: সংসদে শপথ নিতে আবেদন, ধর্ষণে অভিযুক্ত সাংসদকে জামিন দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট]

এদিন শাহের পুরো বিরোধী শিবিরকেই ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ বলে সমালোচনা করা তাৎপর্যপূর্ণ। জাতীয়তাবাদকে যে দিল্লি নির্বাচনের প্রচারের হাতিয়ার হিসাবে বিজেপি ব্যবহার করছে তার প্রমাণ শাহ বিগত করেকদিনের জনসভার বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়েছে। প্রায় প্রতিটি জনসভাতেই টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের কথা বলে নিশানা সাধছেন তিনি। এখন পুরো বিরোধী শিবিরের গায়ে টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের তকমা লাগিয়ে দিয়ে শাহ আগামীদিনে এনিয়ে শুধু কেজরি বা রাহুল নয় সম্মিলিত বিরোধীদের দিকে আক্রমণের রাস্তা এদিন থেকেই চালু করে দিলেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ