সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পানামা কাণ্ডে জেরবার বলিউড। কর কারচুপির অভিযুক্তদের তালিকায় উঠে এসেছে একের পর এক অভিনেতার নাম। তাঁদের মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত অমিতাভ বচ্চন। সূত্রের খবর এবার জাল গুটিয়ে আনছে আয়কর বিভাগ। অমিতাভ-সহ একাধিক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে এবার ‘ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে’ একটি তদন্তকারী দল পাঠিয়েছে আয়কর বিভাগ।
[পানামা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত নওয়াজ, খোয়ালেন প্রধানমন্ত্রীর পদ]
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তদন্তকারীদের তালিকায় সবার উপরে নাম রয়েছে অমিতাভ বচ্চনের। এছাড়াও ওই তালিকায় রয়েছেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, কাজল ও অজয় দেবগণ-সহ বেশ কয়েকজনের নাম। উল্লেখ্য, ক্যারিবিয়ান সাগরে অবস্থিত ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডকে কর ফাঁকির স্বর্গরাজ্য বলা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিনেতা, নেতা, ব্যবসায়ীদের প্রচুর কালো টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছে সেখানে। পানামা পেপার ইস্যুতে গতবছর সারা বিশ্বের তাবড় সেলেবদের কর সংক্রান্ত কারচুপির কথা ফাঁস হয়েছিল। মেরিলবোন এন্টারটেইনমেন্ট নামে এক ব্রিটিশ কোম্পানির প্রায় ১০০০টি শেয়ার বেনামে কিনেছিলেন অজয়৷ ছেলে ও মেয়ের নামে তৈরি করা কোম্পানি নিশা-যুগ এন্টারটেইনমেন্টের নামে তিনি এই শেয়ার কিনেছিলেন৷ অজয় ও কাজল পার্টনারশিপে এই কোম্পানি খুলেছিলেন৷ করফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এ কাজ করেছিলেন কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে৷ কর ফাঁকি দিতে ওই কোম্পানির শেয়ারই অমিতাভ কিনেছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন বিগ-বি।
[স্বাধীনতা দিবসেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা ভারতের!]
এক শীর্ষ আয়কর আধিকারিক জানিয়েছেন, জোরকদমে তদন্ত চলছে। একাধিক দেশ থেকে এই সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, অমিতাভ বচ্চনের বিরুদ্ধেও তদন্ত চালানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, জুলাই মাসে পানামা পেপার কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় পাকিস্তানের প্রধানন্ত্রীর গদি হারিয়েছিলেন নওয়াজ শরিফ। এছাড়াও পাক সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নওয়াজ এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও দায়ের করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ‘মোসাক ফনসেকা’ নামের সংস্থাটি থেকে ‘পানামা পেপার্স’ ফাঁস হয়েছিল। ওই কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশের শতাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের। অভিযুক্তদের মধ্যে বেশকয়েকজন ভারতের নাগরিক। পানামা কাণ্ডের তদন্ত করতে একটি আন্তর্জাতিক স্তরে গঠন করা হয়েছে একটি ‘টাস্কফোর্স’। সেখানে রয়েছেন ভারতীয় তদন্তকারীরাও।