Advertisement
Advertisement

Breaking News

বুলন্দশহর কাণ্ডে মধ্যরাতে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত সেনা জওয়ান

অভিযুক্তকে জেরা করছে পুলিশ৷

Army hands over soldier accused in Bulandshahr violence
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 9, 2018 10:57 am
  • Updated:December 9, 2018 11:06 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের জালে ধরা পড়ল বুলন্দশহর কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সেনা জওয়ান জিতেন্দ্র মালিক ওরফে জিতু ফৌজি৷ শনিবার রাতে সেনা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তারপরেই পুলিশ অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেয়৷

উত্তরপ্রদেশ এসটিএফের আধিকারিক অভিষেক সিং জানিয়েছেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে জিতেন্দ্রকে জেরা করা হয়েছে। তাকে বুলন্দশহরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তাকে আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজত চাওয়া হবে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, জিতেন্দ্র জেরায় স্বীকার করেছে গত সোমবার বুলন্দশহরে সংঘর্ষের সময়ে সে ঘটনাস্থলে ছিল। তবে সে পুলিশ আধিকারিক সুবোধ কুমার সিংকে গুলি করেছিল কিনা, সে বিষয়ে কিছুই জানায়নি। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনাতেও জড়িত ছিল না বলেই এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে দাবি করেছে সে৷

Advertisement

[দায়িত্ব পালনে ‘ব্যর্থ’, সরানো হল বুলন্দশহরের ৩ পুলিশ আধিকারিককে]

গত সোমবার গোহত্যা হয়েছে সন্দেহে সরগরম হয়ে ওঠে বুলন্দশহর। তাণ্ডব চালায় গোরক্ষকরা। খবর পেয়েই পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী৷ গোরক্ষকদের ছোঁড়া ইটে গুরুতর জখম হন পুলিশ আধিকারিক সুবোধ কুমার সিং। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সুবোধের গাড়ি ঘিরে ধরে উন্মত্ত জনতা। অভিযোগ, প্রাণ বাঁচাতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তার নিরাপত্তারক্ষীরাও। এরপর গাড়ির মধ্যেই সুবোধ কুমারকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় প্রথমে যোগেশ রাজ নামে বজরং দলের এক সদস্যের নাম জড়ায়৷ যদিও একটি ভিডিও প্রকাশ করে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে যোগেশ৷

Advertisement

[পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল সেনা, বুলন্দশহর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়]

দিনকয়েক পর বুলন্দশহর কাণ্ডের আরও বেশ কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যা পুলিশেরও হাতে আসে৷  সংঘর্ষের কিছু ভিডিও ফুটেজে তাকে দেখা গিয়েছে বলেই দাবি করে পুলিশ। ওই ভিডিওয় সূত্র ধরেই তদন্তকারীদের আরও দাবি, পুলিশ আধিকারিককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জওয়ান জিতু ফৌজি। বুলন্দশহরের বাসিন্দা হলেও,  শ্রীনগরে সেনার চাকরি করত জিতু৷ সোমবার ঘটনার সময় সে শ্রীনগরে সেনার চাকরি থেকে ছুটি নিয়ে বুলন্দশহরে এসেছিল বলে জানান তদন্তকারীরা৷ যদিও পুলিশের দাবি খারিজ করে দিয়েছিলেন জিতুর মা৷ তিনি পালটা দাবি করেন, ঘটনার সময় কার্গিলে ছিল জিতু৷ তবে পরিজনদের দাবিতে আমল দেয়নি পুলিশ৷ ভিডিও হাতে আসার পরই শ্রীনগরে জিতুর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ টিম৷ শনিবার সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দল কাশ্মীর থেকে জিতেন্দ্রকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে আসে। এর আগে খোদ সেনাপ্রধান জানিয়েছিলেন, জিতুর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থাকলে তাঁরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। সেই মতো শনিবার রাতে জিতুকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷

[বুলন্দশহর কাণ্ডের রিপোর্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন যোগী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ