ভূমিধসে চাপা পড়েছিল সেনা বাহিনীর গাড়ি।
বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: প্রবল বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে বিধ্বস্ত উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা। আবহাওয়ার উন্নতি হতেই গোটা এলাকার চিত্র সামনে আসছে। রাস্তা বলে আর কিছু নেই। ভেঙে পড়েছে একাধিক সেতুও। অন্যান্য এলাকার সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন লাচেন। ভূমিধসের পর গোটা এলাকা বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। ফের বড়সড় ধস নামার আশঙ্কাও করা হছে। গোটা এলাকা এই মুহূর্তে জনশূন্য। এখনও বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছে তিস্তা। ভারতীয় সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের দল নতুন রাস্তা তৈরির কাজ চালাচ্ছে। পাশাপাশি চলছে উদ্ধারকাজ। এদিকে আরও দুটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ দু’টি মৃতদেহ সেনা জওয়ানদের হতে পারে। এমনই অনুমান করা হচ্ছে।
সোমবার বিকেলের পর পুরুষ ও মহিলার দুটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তাঁরাও সেনাবাহিনীর জওয়ান। গত দু’দিনে তিনজনের দেহ উদ্ধার হল। মঙ্গনের পুলিশ সুপার সোনম দেচচু ভুটিয়ার জানান, নতুন উদ্ধার হওয়া মৃতদেহগুলির পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রাথমিক অনুমান, মহিলার দেহটি লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রীতপাল সিং সাধুর স্ত্রী অথবা কন্যার হতে পারে। ভূমিধসের বিপর্যয়ের পর থেকে তিনি নিখোঁজ আছেন। রবিবার যে জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাঁর নাম সাইনুদ্দিন পিকে। ভূমিধসের পর উদ্ধার হয়েছিল হাবিলদার লখিন্দর সিং, ল্যান্স নায়েক মুনিশ ঠাকুর এবং পোর্টার অভিষেক লাখার দেহ। এখনও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
বৃষ্টি কমতেই পায়ে হেঁটে বিধ্বস্ত এলাকায় পৌঁছেছে সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের দল। প্রথমে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করা হয়েছিল। প্রায় দু’হাজার পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাকে উদ্ধার করা হয়। আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলে প্রথমে পায়ে হাঁটা রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়। এই মুহূর্তে রাস্তা তৈরির কাজও চলছে। বর্ষার আগেই রাস্তা তৈরির কাজ শেষ করার লক্ষ্য আছে সেনার। সেতু তৈরির কাজও চলছে। শুধু তাই নয়, ওই এলাকার সেনা ছাউনি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেই ছাউনি তৈরির কাজও শুরু হবে বলে খবর। মঙ্গন জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানান, আগামী সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.