'মুঘল সম্রাট বাবর নয়, মসজিদটি বানিয়েছিলেন তাঁর মন্ত্রী আবদুল মির বাকি।'
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দুদের মন্দির গুঁড়িয়ে দিয়েই নির্মাণ করা হয়েছিল বাবরি মসজিদ। বুধবার, সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশের শিয়া ওয়াকফ বোর্ড। উল্লেখ্য, প্রায় ৭০ বছর আগে আদালতের রায়ে বাবরি মসজিদের দখল হারায় শিয়া বোর্ড। বিতর্কিত মসজিদটির দখল চলে যায় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের হাতে। এদিন ১৯৪৬ সালের আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় শিয়া বোর্ড।
[বাবরি ধ্বংস মামলায় জামিন পেলেন আদবানী, জোশীরা]
কয়েক দশক ধরে চলে আসা রাম জন্মভূমি-বাবরি বিতর্ক এখন তুঙ্গে। অনেকেই মনে করন ২০১৪ সালে রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় আসে বিজেপি। ইতিমধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে অযোধ্যায়। শুক্রবার রাম মন্দির বিতর্কে শুনানি রয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। ঠিক এই সময় শিয়া বোর্ডের বয়ানে চড়েছে পারদ। ১৯৪৬ সালের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করে শিয়া বোর্ডের আইনজীবী এম সি ধিংরা জানিয়েছেন, মন্দির ভেঙেই বাবরি মসজিদ বানানো হয়েছিল। যেহতু মসজিদটি একজন শিয়া মুসলিম বানিয়েছিলেন তাই বাবরির মালিকানা শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের হাতে থাকা উচিত। মুঘল সম্রাট বাবর নয়, মসজিদটি বানিয়েছিলেন তাঁর মন্ত্রী আবদুল মির বাকি। তিনি শিয়া মুসলিম ছিলেন। আর বাবর ছিলেন সুন্নি। তাই কোনও ভাবেই বাবরি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি হতে পারে না। ওই পিটিশনে আরও দাবি করা হয়েছে, বাবরি মসজিদ নির্মাণের আদেশ দিয়ে থাকলেও তিনি প্রকৃত ‘ওয়াকিফ’ নন। ওই মসজিদের ‘ওয়াকিফ’ বা প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন আবদুল মির বাকি। তিনিই মন্দির ধ্বংস করে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।
[বাবরি কাণ্ডে আদবানীদের বিরুদ্ধে চলবে ষড়যন্ত্রের মামলা, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
শীর্ষ আদালতে শিয়া বোর্ড জানিয়েছে, নির্মাণের পর থেকেই বাবরি মসজিদের দেখাশোনা করে আসছে শিয়া সম্প্রদায়। কিন্তু ১৯৪৪ সালে সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে ব্রিটিশরা মসজিদটিকে সুন্নি ওয়াকফের অন্তর্ভুক্ত করে। ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ১৯৪৫ সালে ফৈজাবাদ আদালতে মামলা দায়ের করে শিয়া বোর্ড। যদিও সে মামলায় শেষপর্যন্ত হার স্বীকার করতে হয় তাদের। বাবরির দখল বর্তায় সুন্নি বোর্ডের হাতে। উল্লেখ্য, শিয়া বোর্ড জানিয়েছে, বিতর্কিত রাম জন্মভূমি থেকে কিছুটা দূরে মসজিদ নির্মাণ করা যেতে পারে। এভাবেই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছে তারা। এছাড়াও বাবরি সমস্যার সমাধানে বাধা সৃষ্টি করছে সুন্নি বোর্ড বলেও অভিযোগ তাদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.