Advertisement
Advertisement
Bangladesh

‘জেলও ভালো’, ত্রিপুরায় আটক হয়েও রক্তঝরা স্বদেশে ফিরতে চান না বাংলাদেশিরা

জিআরপি সূত্রে খবর, কিশোরীগঞ্জ থেকে ১০ জনের একটি দল ত্রিপুরার আমবাসা থেকে ধরা পড়েছে। দলের সকলেই হিন্দু।

Bangladeshi citizens who get detained in Tripura after crossing border say that even jail in India is better than returning

প্রতীকী ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 8, 2024 3:51 pm
  • Updated:December 8, 2024 4:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশ নাকি স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে। এমনটা যাঁরা দাবি করছেন, তাঁদের দাবির সঙ্গে বাস্তব চিত্র যে একেবারেই মিলছে না, তা প্রতি পদে পদে স্পষ্ট। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারি ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পদতলে তেরঙ্গার অবমাননা এবং তার প্রতিবাদ গর্জে ওঠা হিন্দুদের উপর বাংলাদেশ পুলিশ-সেনার দমনপীড়ন, সবই সংখ্যালঘু নির্যাতনের নজির নিঃসন্দেহে। স্বদেশে নিরাপত্তাহীন হয়ে ভারতে আশ্রয় খুঁজছেন সে দেশের হিন্দুরা। এই পরিস্থিতি অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে সুরক্ষা বলয় আরও জোরদার হলেও সবসময় আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। যেমন শনিবার ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে রেলপথে এদেশে ঢুকে পড়া ১০ বাংলাদেশিকে আটক করেছে জিআরপি। তাঁরাও জানেন, জেলযাত্রা অনিবার্য। তবু সেই জীবনই সই! আটকরা বলছেন, ”জেলে মরে যাব, তবু ভালো। কিন্তু বাংলাদেশে ফিরে যাব না।”

ত্রিপুরা রেল পুলিশ সূত্রে খবর, ধলাই জেলার আমবাসা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শিশু, মহিলা-সহ মোট ১০ জনের একটি দল ঢুকেছে ভারতে। সঙ্গে সঙ্গে রেল পুলিশ তাঁদের আটক করে। জানা যাচ্ছে, এই দলে রয়েছেন বৃদ্ধ, বৃদ্ধাও। সকলেই হিন্দু। শিলচর হয়ে অসমে প্রবেশের পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। জিআরপি অফিসার পিণ্টু দাসের কথায়, ”একটা অটোরিকশায় কয়েকজনকে মুখ ঢেকে যেতে দেখে সন্দেহ হয়েছিল। তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই স্বীকার করেন যে বাংলাদেশ থেকে এদেশে ঢুকছেন।” বাংলাদেশের কিশোরীগঞ্জের ধানপুর গ্রাম থেকে তাঁরা রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়েছেন বলেও স্বীকার করেন।

Advertisement

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কার্যত ভেঙে পড়েন দলের অন্যতম সদস্য শংকরচন্দ্র সরকার। তিনি জানান, ”বাংলাদেশের অবস্থায় এই মুহূর্তে হিন্দুদের জন্য খুবই সঙ্গীন। হাসিনার দেশত্যাগের পর ইউনুস সরকার এসেছে। আর হিন্দুদের ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রাণ সংশয়ও রয়েছে। আমি ওখানে অটো চালাতাম। কিন্তু টাকা রোজগারের জন্য রোজ বেরতে ভয় লাগছে। আমার মতো সাধারণ মানুষ শুধুমাত্র পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে আমি দেশ ছেড়ে চলে এসেছি। এখানে জেল জীবনও ভালো, কিন্তু ওদেশে আর ফিরে যাব না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement