সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকফ আইন নিয়ে অশান্তির আবহে মুর্শিদাবাদে হিংসা ছড়িয়েছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা! বিস্ফোরক এই তথ্য উঠে এল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রাথমিক তদন্তে। এমনটাই সূত্রের দাবি। হিংসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বাংলার পুলিশ, ওই রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। যদিও সরকারিভাবে এই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছু বলা হয়নি।
ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদের নামে ‘গুন্ডামি’ শুরু হয় মুর্শিদাবাদে। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নবাবের জেলা। পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। অশান্তির মুর্শিদাবাদে হিংসার বলি হন তিনজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার রাত থেকে নেমেছে বিএসএফ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে শনিবার রাত থেকে আধা সেনাও নামানো হয়। লাগাতার অশান্তির জেরে একাধিক গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে বহু পরিবার। তাদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। ঘরহারা পরিবারগুলি আশ্রয় নিয়েছে পড়শি জেলা মালদহের বৈষ্ণবনগরের বিভিন্ন স্কুলে।
মুর্শিদাবাদে এই ভয়ানক অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে বহিরাগত শক্তি, এমনটা দাবি করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের মতে, বাইরে থেকে লোক এনে বিজেপি বাংলার সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে চাইছে। তাতে সাহায্য করেছে বিএসএফের একাংশ। ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলাম বলেন, “বাইরে থেকে লোকজন না ঢুকলে এই ধরনের কাণ্ড ঘটত না। বাইরে থেকে লোকজন এই এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব করতে শুরু করেছে। ভিতরের লোকজন তো রয়েছেই। এতদিন এখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি।” তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “বিএসএফের একাংশের সাহায্য নিয়ে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের ঢুকিয়ে অশান্তি ছড়িয়ে আবার তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকার লোকজন বলছে, অশান্তির মূল পাণ্ডাদের তারা চেনেন না। ফলে কোনও রাজনৈতিক দল কোনও কোনও এজেন্সির সাহায্য়ে অশান্তি ছড়াচ্ছে কি না তা দেখতে হবে।”
প্রশ্ন ছিল, বহিরাগত বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে- ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতী নাকি বাংলাদেশি দুষ্কৃতী? এদিন কেন্দ্রের রিপোর্টে আঙুল তোলা হল পড়শি দেশের দিকেই। কিন্তু সীমান্ত পেরনোর সময়ে কেন আটকানো হল না এই দুষ্কৃতীদের? পুলিশ এবং গোয়েন্দারাই বা কেন এই হিংসার ছক বানচাল করতে পারল না? অশান্তি যখন তৈরি হচ্ছে, তখনই কেন তা দমন করা গেল না? এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মেলেনি কেন্দ্রীয় রিপোর্টে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.