Advertisement
Advertisement

“মমতায় আপত্তি নেই, কংগ্রেসকে বনবাস দিন”, স্ট্র্যাটেজি বদল মোদির

নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত?

Banish Congress, says PM Modi
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 28, 2018 11:11 am
  • Updated:November 28, 2018 11:31 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের বাকি আর মাস পাঁচেক। এর মধ্যে হঠাৎই স্ট্র্যাটেজি বদল বিজেপির। আর এই নয়া স্ট্র্যাটেজির ইঙ্গিত মিলল খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা, মায়াবতী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ যাদব বা বামপন্থীরা ভোট পেলে আপত্তি নেই। কিন্তু কংগ্রেসকে একটি ভোটও নয়, তাদের রাজনৈতিকভাবে বনবাসে পাঠাতে হবে। মঙ্গলবার তেলেঙ্গানার নিজামাবাদে নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

[হিন্দু শরণার্থীদের উদ্বেগ বাড়িয়ে ঠান্ডা ঘরে নাগরিকত্ব বিল]

তেলেঙ্গানায় ভোটের প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গলায় এ যেন উলটো সুর। নমো সাফ বললেন মমতাতে কোনও আপত্তি নেই তাঁর। এমনকী আপত্তি নেই অখিলেশ যাদব-মায়াবতী জোটেও, তাঁর একমাত্র আপত্তির জায়গা কংগ্রেস। তিনি বলেন,”উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব কিংবা মায়াবতীকে নিয়ে কারও কোনও সমস্যা নেই, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা বাম দলগুলিকে নিয়েও কারও সমস্যা নেই, কিন্তু কংগ্রেসই একমাত্র দল যাকে গোটা দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে বনবাসে পাঠিয়ে দিতে হবে।” এদিন তেলেঙ্গানায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের বিরুদ্ধেও সুর চড়ান মোদি। তবে, তিনি চন্দ্রশেখর রাওকে যতটা না গালমন্দ করলেন তার চেয়ে অনেক বেশি কটাক্ষ করলেন কংগ্রেসকে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, “কেসিআর যদি শিক্ষানবীশ হন, তাহলে কংগ্রেস হচ্ছে দুর্নীতির কলেজের অধ্যাপক। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে টিডিপি তেলেঙ্গানার যা ক্ষতি করেছে তাঁর ১০০ গুণ বেশি ক্ষতি করবে।”

Advertisement

[কড়া নিরাপত্তায় মধ্যপ্রদেশে শুরু ভোটগ্রহণ, সাতসকালে মন্দিরে কং-বিজেপি]

কিন্তু হঠাৎ, মমতা-অখিলেশ-মায়াবতীদের মতো তীব্র বিরোধীদের প্রতি মোদির সুর নরম কেন, কেনই বা শুধু কংগ্রেসের প্রতি এ হেন বিদ্বেষ? গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, বিজেপি ধরে নিচ্ছে ২০১৯-এ বিরোধীরা একজোট হবে। সেক্ষেত্রে যদি কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্ত আঞ্চলিক দলগুলিও হাত মেলায় তাতে বিপদ বাড়বে বিজেপির। আর কংগ্রেসকে ছাড়া আঞ্চলিক দলগুলি একত্রিত হলেও বড় বেশি ক্ষতি হবে না বিজেপি শিবিরের, বরং তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরি হলে ভোট ভাগাভাগীতে লাভই হবে। তাই, মোদি চাইছেন যেনতেন প্রকারেণ বিরোধী মহাজোট থেকে কংগ্রেসকে দূরে রাখতে। যাতে, বিজেপি বিরোধী ভোট দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে যায়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মোদি যাদের নাম নিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্তত ২ জন প্রধানমন্ত্রী পদেরও দাবিদার। সেক্ষেত্রে তাদের উসকে দিয়ে যদি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা থেকে বিরত রাখা যায়, সেই চেষ্টায় করছেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ