সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “বেকার থাকার থেকে পকোড়া বিক্রি করা অনেক ভাল।”- সংসদে প্রথমবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে ‘পকোড়া রাজনীতি’কে উসকে দিলেন অমিত শাহ। দারোগার হয়ে চৌকিদারের মতো সওয়াল করলেন মোদির এই বিশ্বস্ত সেনাপতি। এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। তার উপরে যখন তিনি এ কথা বলছেন, তখন দর্শকাসনে বসে খোদ প্রধানমন্ত্রী। শুধু ‘পকোড়া রাজনীতি’ই নয়, ফের বেকারত্ব ইস্যুকে সামনে রেখে প্রকারান্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে ‘তু তু ম্যায় ম্যায়’ খেলায় মাতলেন বিজেপি সভাপতি।
কংগ্রেসকে জবাব দিতে প্রধানমন্ত্রীকেই উদাহরণের তালিকায় রাখলেন অমিত শাহ। সেই সঙ্গে দেশের বেকার যুবকদের কাছে অনুপ্রেরণার বার্তাও দিলেন। বললেন, “যখন একজন চাওয়ালা দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসছেন, তখন কোনও একদিন পকোড়া বিক্রেতার উত্তরসূরী যে বড় শিল্পপতি হবেন না কে বলতে পারে! তাই পকোড়া বিক্রিতে লজ্জা নেই। বেকার থাকার থেকে পকোড়া বিক্রি করা অনেক ভাল।”
সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘যদি কোনও ব্যক্তি পকোড়া বিক্রি করে দিনের শেষে ২০০ টাকা রোজগার করেন, তবে কী তা রোজগার নয় ?’ মোদির এহেন বক্তব্যের পরেই সমালোচনা ঝড় ওঠে বিরোধী মহলে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে নিষ্ঠুর রসিকতা বলে উল্লেখ করেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মতে পকোড়া বিক্রি করা একটি পেশা। তাহলে ভিক্ষা করাও একটি পেশা। দেশে প্রতিবন্ধী ও গরিব মানুষ যাঁরা ভিক্ষা করে দিন গুজরান করেন, তাহলে তাঁরা সবাই কাজই করছেন। অন্তত যুক্তি তাই বলে।
সোমবার রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের ‘পকোড়া রাজনীতি’কেই উসকে দিলেন অমিত শাহ। বকলমে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে পি চিদম্বরমের কটাক্ষেরই পালটা দিলেন তিনি। বললেন, “আজকের দিনেও যুবসমাজের কাছে বেকারত্ব একটি বড় ইস্যু। কাজ পাওয়ার বিষয়টি ইস্যু নয়, এমনটাও আমি বলছি না। আমরা তো মাত্র সাত থেকে আটবছর দেশের ক্ষমতায় থেকেছি। অন্যদিকে কংগ্রেস ৫৫ বছর মসনদে ছিল। বেকারত্ব আজকের দিনে এত বড় ইস্যুই হত না, যদি ৫৫ বছরে বেকারত্ব নির্মূলে কংগ্রেস উদ্যোগ নিত। স্বাধীনতার পরে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে দেশ চালানোর গুরু দায়িত্ব বহন করেছে বিজেপি। এখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সেই দায়িত্বই পালিত হচ্ছে। একটু পিছনের দিকে ফিরে যান। ২০১৩ সালের কথা চিন্তা করুন। সরকারের সিদ্ধান্তহীনতার দরুণ দেশের সেনা নায়করাও সীমান্তে বীরত্ব দেখাতে পারেনি। পূর্বতন কংগ্রেস সরকাররের বদান্যতায় পুরো সিস্টেমটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল।”
অমিত শাহর বক্তব্যের পালটা দিতে ছাড়েনি কংগ্রেস। সরাসরি কটাক্ষ করেছেন গুলাম নবি আজাদ, তিনি বলেন, “বিজেপি তো নাম বদলের সরকার। বাজেটে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রকল্পের যে দিশা দিয়েছে তা এককথায় প্রহসন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.