সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে সংরক্ষণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দেশ জুড়ে বনধ ডেকেছে একাধিক সংগঠন। কয়েকদিন আগেই দলিত অন্দোলনে কার্যত জ্বলে উঠেছিল উত্তর-ভারত। তাই এবার অশান্তির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এদিনের বনধ উপলক্ষ্যে রাজ্যগুলিকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করার নির্দেশ দিয়েছে।
[তফসিলি জাতি-উপজাতির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ কেন্দ্র: রাজনাথ]
তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায় সংক্রান্ত আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে ২ তারিখ দলিতদের ডাকা ভারত বনধে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের নৈতিক সমর্থন দেয় কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ন’টি রাজ্য। বাতিল করা হয় প্রায় ১০০টি ট্রেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় সেনাবাহিনীকে। তাই এদিনের বনধ ঘিরে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানে আলাদা করে নিরাপত্তামূলক সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই তিন রাজ্যেই দলিত বনধের দিন সবথেকে বেশি হিংসা ছড়িয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য ছিল, তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের উপর অত্যাচার বন্ধের আইনটি সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে অপব্যবহার হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আইন প্রয়োগে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করে শীর্ষ আদালত। শুরু থেকেই বিষয়টিতে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। দলিতদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বাড়ার আশঙ্কায় সরব হয় বিরোধী দলগুলি। তারপরই প্রবল চাপে পড়ে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে কেন্দ্র। তবে সেই পিটিশন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
জানা গিয়েছে, দলিতদের ডাকা ভারত বনধের পর সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ সংরক্ষণ বিরোধী বনধের ডাক দেওয়া হয়। রাজস্থানের ‘সর্ব সমাজ’ নামে একটি সংগঠন বনধের সমর্থনে বিবৃতি দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশে নির্দেশ এসেছে স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার। ভিন্দ, গোয়ালিয়র ও মোরেনায় দলিত বনধে ৬ জন মারা যান, এই তিন এলাকায় এদিন জারি থাকবে কারফিউ। গুজরাট থেকে রাস্তা রোখার খবর এসেছে।
[নিম্নবর্গের জন্য কিছুই করা হয়নি, মোদিকে পত্রবোমা বিজেপির দলিত সাংসদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.