সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে হাত-পা বাঁধা। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে ১৯ বছরের ছাত্রী। তবুও বিন্দুমাত্র দয়া জাগেনি। পরপর তারা ধর্ষণ করে তাঁকে। এমনকি মাঝে-মাঝে চা, সিগারেটের বিরতি নিয়ে ওই পড়ুয়ার উপর অত্যাচার চালিয়ে যায় তারা। অমানবিক এই ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের।
[‘মেরে রক্ত বার করে দিয়েছে’, বাবার বিরুদ্ধে থানায় উঠতি মডেল]
দেশে মহিলাদের নিরাপত্তায় যে কত বড় গলদ রয়েছে তা ফের প্রমাণ করে এই ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাড়ির পাশে হাবিবগঞ্জ স্টেশন থেকে প্রতিদিন ভোপালের একটি কোচিং সেন্টারে যেতেন নির্যাতিতা। মঙ্গলবার রাত প্রায় ৭টা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে তাঁর উপর চড়াও হয় গলু বিহারী, অমর, ঘুন্টু, রাজেশ ও রমেশ নামের পাঁচ অভিযুক্ত। তারা ওই পড়ুয়াকে জোর করে ব্রিজের নিয়ে গিয়ে পালা করে ধর্ষণ করে। প্রায় তিন ঘন্টা পাশবিক অত্যাচারের পর রাত ১০টা নাগাদ ওই পড়ুয়াকে মুক্তি দেয় তারা।
পরের দিন এমপি নগর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে ধর্ষিতার কথা হেসে উড়িয়ে দেন অফিসাররা। উল্লেখ্য, নির্যাতিতার বাবা একজন পুলিশকর্মী। তাঁর মাও সিআইডি-তে কর্মরত। তারপরও তাঁর অভিযোগ না নেওয়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। তারপরই নয়া মোড় নেয় ঘটনা। বুধবার, গলু ও অমর নামের দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করেন নির্যাততা ও তাঁর বাব-মা। ইতিমধ্যে ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। ফলে চাপের মুখে একপ্রকার বাধ্য হয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়াও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে এমপি নগর থানার সাব-ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়।
এই ঘটনার জেরে এখনও চরম আতঙ্কিত ওই পড়ুয়ার পরিবার। নির্যাতিতার মা জানান, পুলিশকর্মী হয়েও নিজের মেয়ের গণধর্ষণের অভিযোগ জানাতে এতটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁদের। এমন পরিস্থিতিতে একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে অভিযোগ জানানো যে কতটা কষ্টকর তা স্পষ্ট। তিনি আরও অভিযোগ জানান যে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকর্মীরা রীতিমতো ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও করেন।
[এবার মোবাইল ও আধার লিঙ্কের মেয়াদ কমল]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.