সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সূর্য ওঠার আগেই মাঠে-ঘাটে পৌঁছে যেতে হবে। দেখতে হবে কে, কোথায় প্রকাশ্যে শৌচকর্ম করছে। কেউ এমন কাণ্ড ঘটালে সুযোগ বুঝে তা ক্যামেরাবন্দি করতে হবে। একই ডিউটি বিকেলে। শৌচাগার নিয়ে সচেতনতার লক্ষ্যে বিহারের বিভিন্ন জায়গায় এমন কর্মসূচি নিয়েছে প্রশাসন। এপর্যন্ত কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু এই ক্যামেরাম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্কুলের শিক্ষকদের। যা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ শিক্ষকমহল।
[যুবতীর পাকস্থলী থেকে বেরল দেড় কেজি চুল, হতবাক চিকিৎসকরা]
প্রকাশ্যে শৌচকর্ম নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে এই কর্মসূচি বলে প্রশাসন যুক্তি দেখালেও ক্ষোভ এতটুকু কমেনি। ঔরঙ্গাবাদ প্রশাসন জেলার ৬১টি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকদের এই কর্মসূচিতে ডেকে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি মুজফফরপুর জেলা থেকে ১৪৪ জন শিক্ষককে মনোনীত করা হয়েছে। শিক্ষক সংগঠনগুলির সাফ কথা, এমন সিদ্ধান্ত অত্যন্ত অপমানজনক। শিক্ষকদের আসলে কী পরিচয় সরকার দিতে চাইছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংগঠনগুলি। বিহার মাধ্যমিক শিক্ষক সংঘের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন সাংসদ শত্রুঘ্ন প্রসাদ সিং এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। নীতীশ কুমারকে চিঠিও লিখেছেন শত্রুঘ্ন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, সকাল-সন্ধ্যা গ্রামে গ্রামে ঘোরার এমন নির্দেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
[যোগীর সভায় বোরখা খুলে নেওয়া হল মহিলার, বিতর্ক তুঙ্গে]
দিন কয়েক আগে কুডনির বিডিও হরিমোহন কুমার জানান, ‘‘শিক্ষকদের নিজ নিজ এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করতে হবে। গোটা কর্মকাণ্ড তা লেন্সবন্দি করতে হবে। সকাল ৬টা থেকে ৭টা এবং বিকেল ৫টা থেকে ৬টা। দুটি পর্বে গ্রামে গ্রামে ঘুরতে হবে শিক্ষকদের। দেখতে হবে কারা রাস্তাঘাটে প্রাকৃতিক কাজ সারছেন।’’ মুজফফরনগরের এক শিক্ষকের বহিঃপ্রকাশে স্পষ্ট তারা এই সিদ্ধান্তে বেজায় বিরক্ত। ওই শিক্ষকরের বক্তব্য, ‘‘আমাদের বলা হয় যে সমস্ত লোকজন প্রকাশ্যে শৌচকর্ম করছেন, তাদের ছবি তুলতে হবে। আমরা জানিয়েছিলাম ছবি তুলতে গেলে পরিস্থিতি খারাপ হতে হবে। মহিলা বা ছোট ছোট মেয়েদের ওই অবস্থার ছবি তুললে উত্তম-মধ্যম জুটতে পারে। সব শুনেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।’’ এত সমালোচনা হলেও প্রশাসনের সাফাই এতে শিক্ষকদের তেমন চাপ হবে না। শিক্ষকরা যে এলাকায় থাকেন সেখানে সকাল-সন্ধ্যা বিষয়টি একটু দেখতে হবে। কিন্তু এই করে তারা পড়াশোনাটা কি আর আদৌ ঠিকমতো করাতে পারবেন? এর অবশ্য জবাব মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.