সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়িতে শৌচালয় নেই? তাহলে বাড়ির বউমা শৌচকর্ম কীভাবে করবেন? দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রশ্নের সদুত্তর না পেয়ে শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন বউমা।
চিত্রনাট্য অনেকখানি বলিউড ছবি ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’র মতোই। যেখানে সমাজকে সচেতন করতে, দেশকে স্বচ্ছ করতে শৌচালয় তৈরি দাবি জানিয়েছিলেন ছবির নায়িকা। স্ত্রীর শৌচালয় বানানোর অদ্ভুত যুক্তি স্বামী অক্ষয় কুমার প্রথমে মেনে নিতে পারেননি। তবে পরে সায় দিয়েছিলেন। অবশেষে বউমার দৌলতেই বাড়িতে গড়ে ওঠে শৌচাগার। বিহারের মুজাফ্ফরপুর জেলার ছেগান নেউরা গ্রামের ঘটনা অনেকটা এমনই। যদিও এ চিত্রনাট্য এখনও শেষ হয়নি। তবে শ্বশুর মশাইয়ের কাছ থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি পেয়ে গিয়েছেন বউমা। যত দ্রুত সম্ভব, বাড়িতে তৈরি হবে শৌচালয়। শৌচকর্মের জন্য রাতের অন্ধকারে মাথা ঢেকে আর ঝোপে জঙ্গলে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
[নেতাজির একদা শিষ্যা এখন দেশের শ্রেষ্ঠ ট্যুরিস্ট গাইড]
মুজাফ্ফরপুর মহিলা থানার ওসি জ্যোতি জানান, দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির সদস্যদের শৌচাগার তৈরির কথা বলেও কোনও লাভ হয়নি। স্বামী কাজের সূত্রে তামিলনাড়ুতে থাকেন। ছুটিতে স্বামী বাড়ি এলে তবেই শ্বশুর বাড়ি যান মহিলা। বাকিটা সময় কাটে বাবার বাড়িতেই। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলতে পারে। তাই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হন মহিলা। দিনের পর দিন এমন মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত ২৫ সেপ্টেম্বর শ্বশুর এবং দেওরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান ওই বাড়ির বউমা। অভিযোগের ভিত্তিতে পরের দিনই দুজনকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। সেখানেই একটি বন্ডে সই করেন শ্বশুরমশাই। যেখানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, শীঘ্রই বাড়িতে একটি শৌচাগার বানিয়ে দেবেন তিনি। পুলিশের তরফে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। যদিও আর্থিক কারণে আরও খানিকটা সময় চেয়ে নেন তাঁরা। প্রতিশ্রুতি পেয়ে পরে থানা থেকে অভিযোগ তুলে নেন মহিলা।