সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রমজান মাসে রাজনীতির একটা বড় অঙ্গ ইফতার পলিটিক্স। বিহারে সেই ইফতার পলিটিক্সে ডাহা ফেল করলেন দলের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি। তাঁর দেওয়া ইফতার পার্টিতে জোটসঙ্গীদের মধ্যে বড় কোনও নেতাই হাজির হলেন না। ফলে শরিকি অসন্তোষের যে খবর বেশ কিছুদিন ধরেই মাথাচাড়া দিচ্ছে তা ভিত্তি পেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
একে মহারাষ্ট্রে শিব সেনার গোসা সামলাতে নাস্তানাবুদ বিজেপি শিবির। এরই মধ্যে বিহারের জোটসঙ্গীরা যেন একযোগে বড় শরিকের বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপির বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছে বিজেপি। একের পর এক উপনির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের হার এই অসন্তোষ আরও বাড়িয়েছে। জেডি(ইউ) শিবিরের আশঙ্কা বিজেপির সঙ্গে জোট করার পর সংখ্যালঘুদের মধ্যে প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছেন নীতীশ। তাছাড়া নীতীশ কুমারের মতো প্রবীণ নেতাকে উপযুক্ত সম্মানও দিচ্ছেন না বিজেপি নেতারা। অন্যদিকে, লোক জনশক্তি পার্টির রামবিলাস পাসোয়ান দলিত ইস্যুতে বিজেপির উপর খাপ্পা। অন্যদিকে, বিহারে বিজেপির আর এক জোটসঙ্গী উপেন্দ্র কুশওয়া আবার অসন্তুষ্ট নীতীশের উপর। এই সব অসন্তোষ তো রয়েইছে।
এইসব অসন্তোষের থেকেও বেশি সমস্যা তৈরি হয়েছে আসন সমঝোতা নিয়ে। ২০০৯ লোকসভা ভোটে বিহারে ২৫-১৫ সিস্টেমে আসন বণ্টন হয় জেডিইউ ও বিজেপির মধ্যে। জেডিইউ লড়ে ২৫টি আসনে। এবারেও সেই একই ফর্মুলা চাইছেন নীতীশ কুমার। অথচ ২০১৪ সালে আলাদা লড়ে বিজেপি একাই পেয়েছিল ২২টি আসন, বিজেপির অন্য জোটসঙ্গীরা পেয়েছিল আরও ৯টি আসন। সেক্ষেত্রে এবছর কাকে কটা আসন ছাড়া হবে, আর বিজেপিই বা কটা আসনে লড়বে তা নিয়ে চরম দ্বন্দ্বে বিহারের এনডিএ শরিকরা। আর সেই দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটল সুশীল মোদির ইফতার পার্টিতে। উপ মুখ্যমন্ত্রীর ইফতারে গেলেন না নীতীশ কুমার। গেলেন না রামবিলাস পাসোয়ানও। ফলে জোটসঙ্গীরা ঐক্যবদ্ধ, এটা বোঝানোর যে মরিয়া চেষ্টা বিজেপি করছিল তা সফল হল না। যদিও, বিজেপি নেতাদের দাবি দু’দিন আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের ইফতার পার্টিতে সব শরিকই হাজির ছিলেন। সুতরাং বিবাদের কোনও জায়গা নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.