সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কান ঘেঁষে গুজরাট জয়। কোনওরকমে জেতার পরও গুজরাটে বিজেপির খারাপ সময় কাটছে না। উপমুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেলকে নিয়ে গৃহদাহ। একাধিক দপ্তর কেড়ে নেওয়ায় উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই পতিদার নেতা। তাঁর সেই ক্ষোভকে উসকে দিয়েছেন হার্দিক প্যাটেল। তবে বিজপি নেতৃত্বর যা হাবভাব তাতে স্পষ্ট নীতিনকে বেরনোর দরজা খুঁজতে হবে।
[নতুন দল গড়ে রাজনীতিতে পা, ঘোষণা রজনীকান্তের]
বিজেপি সূত্রে খবর, এধরনের বিদ্রোহ বা চাপের রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না। কারও না পোষালে ছেড়ে দিক। এই বার্তা দিতে চাইছে নেতৃত্ব। তাই নীতিনের হম্বিতম্বি নিয়ে খুব একটা বিচলিত নয় বিজেপি। একইভাবে হিমাচল প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী হতে না পারায় ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রেমকুমার ধুমল। তাকেও পাত্তা দিতে চাইছে না বিজেপি। তবে ভিতরে এই খবর থাকলেও উপরে উপরে অবশ্য ড্যামেজ কন্ট্রোলের কাজ করছে গেরুয়া শিবির। নীতিনের গোঁসা কমাতে সোমবার গুজরাটে যাচ্ছেন অমিত শাহ। ফের নীতিন প্যাটেলকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে রেখে দেওয়া হলেও তাঁর হাতে অর্থর মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যাতে বেজায় ক্ষুব্ধ নীতিন। প্রতিবাদ জানাতে গত দু‘দিন তিনি মন্ত্রকের অফিসে যাচ্ছেন না। এই নিয়ে তিনি নালিশ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও শাহকে। তবে এই অপমানের জন্য নীতিন শিবির মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণির হাত দেখছে। তাদের অভিযোগ রূপাণি আসলে মোদি-শাহের কান ‘ভারি’ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর শিবির পালটা জানিয়েছে, মন্ত্রিত্ব রদবদলের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কথাই শেষ কথা। তাদের কোনও হাত নেই। বিরক্ত নীতিন জানিয়েছেন, দপ্তর ফিরে না পেলে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন। আনন্দীবেন প্যাটেলকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর নীতিনই কুর্সির দাবিদার ছিলেন। ভোটে তিনি ছিলেন অন্যতম পতিদার মুখ। মেহসনার মতো কঠিন আসন থেকে জিতেছেন। তারপরও দল থেকে তেমন ‘মর্যাদা’ না পাওয়ায় গুজরাটের এই ওজনদার নেতা বেজায় বিরক্ত।
[বর্ষশেষে উপত্যকায় ফিদায়েঁ হামলা, শহিদ জওয়ান]
তার এই ক্ষোভকে কাজে লাগাতে চাইছেন আর এক পতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল। হার্দিক রীতিমতো নীতিনকে প্রস্তাব দিয়েছেন ১০-১২ জন বিধায়ক নিয়ে কংগ্রেস এলে তাঁর যোগ্য ‘সম্মানের’ ব্যবস্থা করবেন। সূত্রের খবর, দল ছাড়ার কথা না বললেও হার্দিকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়েছেন নীতিন। তাঁর এই মনোভাবে গুজরাটে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে মাত্র আটটি আসন বেশি রয়েছে বিজেপির। নীতিনের সঙ্গে তাঁর অনুগামীরা দল ছাড়লে সংখ্যালঘু হয়ে যাবে রূপাণি সরকার।