সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীল হোক বা গেরুয়া। রঙে কী আসে যায়? হ্যাঁ, অনেক কিছু আসে যায়। যখন তা হয় রাজনীতির রং। রাজনীতির সেই রং যেমন ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে দেশ জুড়ে, তেমনই স্পষ্ট হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও। আর পরস্পরের সেই আকচা-আকচিতে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের কিংবদন্তিদের মূর্তি। ফের মূর্তি নিয়ে রাজনীতির এই খেলার শিকার ভীমরাও রামজি আম্বেদকর।
এক-দুবার নয়, বেশ কয়েকবার আম্বেদকরের মূর্তি ভাঙার ঘটনা সামনে এসেছে। আজমগড়, এলাহাবাদ, মীরাট, সাহারানপুর, ফিরোজাবাদ-সহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙা হয়েছিল সংবিধানের রূপকারের মূর্তি। অভিযোগের তির ছিল কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের দিকেই। এবারের ঘটনাস্থলও সেই উত্তরপ্রদেশে। প্রথমে মূর্তি ভাঙা, তারপর রং বদল। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের বদায়ুনে আম্বেদকরের একটি নীল রঙের মূর্তি ভেঙে তা পুনরায় গড়ে গেরুয়া রঙে রঙিন করে দেওয়া হয়। মূর্তিতে গেরুয়া রঙের জন্য বিজেপির দিকেই আঙুল উঠেছে। আর তার পালটা দিয়েছে নীল রঙের প্রতীক বহুজন সমাজ পার্টি। মঙ্গলবার দেখা গেল, সেই রং তুলে ফের তাকে নীল করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জেলা প্রশাসকই উদ্যোগ নিয়ে গেরুয়া রং বদল করেছেন বলে খবর।
গত শনিবার দুগরাইয়া গ্রামের আম্বেদকরের সেই মূর্তিটি প্রথমে ভেঙে ফেলা হয়। যে মূর্তির গায়ে ছিল নীল কুর্তা। তারপর সোমবার সেই জায়গাতেই আরেকটি মূর্তি তৈরি করে তাতে গেরুয়া রং করা হয়। মঙ্গলবার ফের সেই মূর্তির গায়ে আগের রং লাগানো হয়। গ্রাম প্রধান আক্রম খান বলেন, “একদল লোক এসে নীল কুর্তার সেই মূর্তি ভেঙে ফেলে। তারপর আরেকটি মূর্তি বানিয়ে গেরুয়া রং করা হয়। আমি কখনও আম্বেদকরের কোনও মূর্তিকে গেরুয়া রঙের কুর্তায় দেখিনি।”
মূর্তি ভাঙা ও তা কালিমালিপ্ত করার রাজনীতি অব্যাহত। যা শুরু হয়েছিল ত্রিপুরায় লেনিনের মূর্তি ভাঙা থেকে। তবে শুধু মূর্তিই নয়, এর আগে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ভবন থেকে হজ কমিটি অফিস, সবই গেরুয়া রঙে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। পরে এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠায় তা আগের রঙে ফেরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.