Advertisement
Advertisement

Breaking News

আইএএস পরিক্ষার্থীর ঘর থেকে উদ্ধার স্যুটকেসবন্দি শিশুর দেহ

গত ৭ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল শিশুটি।

Body of 5-year-old found in IAS aspirants home
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 13, 2018 6:39 pm
  • Updated:February 13, 2018 6:39 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক৩৭ দিন নিখোঁজ থাকার পর স্যুটকেসবন্দি শিশুর দেহ উদ্ধার হল আইএএস পরিক্ষার্থীর ঘর থেকে। ওই আইএএস পরিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম অবদেশ শাক্য (২৭)। ধৃত যুবক মৃত শিশুর বাড়িতেই এক সময় ভাড়া থাকত। অভিযোগ, শিশুটিকে অপহরণ করার পরেই খুন করা হয়। তারপর ছোট দেহটিকে একটি স্যুটকেসের মধ্যে ভরে রাখা হয়। বাড়িওয়ালার সঙ্গে সম্পর্ক ভাল না থাকলেও শিশুটির সঙ্গে সদ্ভাব ছিল অবদেশের। তবে কি কারণে শিশুটিকে খুন করা হল এখনও স্পষ্ট নয়। দেহ উদ্ধারের পর পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অপহরণের পরেপরেই খুন হয় শিশুটি। খুনের কিনারা করতে ধৃত যুবককে জেরা শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি উত্তর-পশ্চিম দিল্লির স্বরূপনগর এলাকার।

[২৮ ঘণ্টা টানা গুলির লড়াইয়ে শ্রীনগরে খতম ২ লস্কর জঙ্গি]

এই প্রসঙ্গে শিশুটির মা জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে ঝামেলা থাকলেও ছেলের সঙ্গে কথা বলত অবদেশ। ছেলে অবদেশকে কাকা বলে ডাকত। প্রায়ই তাকে ছোলা কুলচা খাওয়াত। এমনকী, সাইকেল কিনে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অবদেশ। গতমাসের সাত তারিখে তাঁকে বলেই কাকার বাড়িতে গিয়েছিল সে। তারপর আর ফিরে আসেনি।

Advertisement

delhi-web

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বাবা মাকে নিয়ে শিশুটির বাড়িতেই দীর্ঘ আটবছর ধরে ভাড়া থাকত অবদেশ শাক্য। বেশ কিছুদিন আগেই শিশুটির বাবার সঙ্গে বাড়ি সংক্রান্ত কোনও বিষয় নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল তার। তারপরেই বাড়িওয়ালার সঙ্গে কথা বন্ধ করে দেয় অবদেশ। এর কিছুদিনের মধ্যেই বাড়িটি ছেড়ে ওই পাড়ার অন্য একটি বাড়িতে চলে যায়। বাড়ি ছাড়লেও শিশুটির সঙ্গে কথা বলত অবদেশ। তার বাড়িতেও নিয়ে যেত। কিন্তু শিশুটির বাবা মাকে কখনও সেখানে যেতে বলত না। গত সাত জানুয়ারি অবদেশের কাছে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। তারপর আর ফিরে আসেনি। এরপরেও অবদেশকে সন্দেহ করেননি শিশুটির বাবা মা। কেন না শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর বাবা মায়ের সঙ্গে সেও খোঁজাখুঁজি করেছে। পুলিশে অভিযোগ জানতে থানায়ও গিয়েছে। তাই পুলিশের সন্দেহের তালিকাতেও ছিল না অবদেশ। এদিকে শিশুটিকে মেরে ফেলার পর দেহটি সরিয়ে ফেলতে পারেনি ওই যুবক। তা অন্যতম কারণ, সাত জানুয়ারির পর থেকেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় লাগাতার তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই স্যুটকেসে দেহটি ভরে রাখে। ভেবেছিল সময় সুযোগমতো দেহটিকে লোপাট করে দেবে। কিন্তু বাদ সাধে গন্ধ। দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা অবদেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। যদিও ইঁদুর মরা গন্ধ বলে সেদিনের মত সন্দেহ ঘুরিয়ে দিতে পেরেছিল। কিন্তু প্রতিবেশীরা অবদেশের উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি। তারা থানায় গিয়ে বিষয়টি জানাতেই অবদেশের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তখনই ঘর থেকে উদ্ধার হয় স্যুটকেসবন্দি দেহ।

[কেরলে জাহাজে বিস্ফোরণ, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ৫ কর্মী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ