সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাই-বোনের সম্পর্ক সবথেকে নিষ্পাপ, কাছের। এমন সুন্দর সম্পর্ক আরও একবার প্রমাণ হল রাজস্থানের রাজধানীতে। দেখিয়ে দিল যশ নামে জয়পুরের ১৩ বছরের এক কিশোর। ভাইফোঁটা উপলক্ষে দিদিকে স্কুটি কিনে দিতে নিজের জমানো পুরো টাকাটাই খরচ করে দিল সে। গোটাটাই সে দিয়েছে খুচরোতে। কারণ বাড়ি থেকে হাতখরচ বাবদ যে টাকা সে পেত সেটা পুরোটাই খুচরো। এই ঘটনাটি দেখেই অবাক হয়েছেন খোদ বাইকের শো-রুমের কর্মচারীরাও। যদিও বাইক কেনার জন্য খরচ হওয়া ৬২ হাজার টাকার মধ্যে তার দিদিও কিছুটা দিয়েছে। দিদির প্রতি ভাইয়ের এই ভালবাসার নজির নিয়ে এখন জোর আলোচনা গোলাপি শহরে।
[‘নোট বাতিলের পর দেশে ডিজিটাল লেনদেন বেড়েছে ৮০ শতাংশ’]
জানা গিয়েছে, গত ১৯ অক্টোবর যখন শো-রুম বন্ধ করতে যাচ্ছিলেন দোকানের কর্মচারীরা, তখনই সেখানে দু’ব্যাগ ভরতি খুচরো পয়সা নিয়ে উপস্থিত হয় যশ ও তার দিদি। যশ জানায়, ‘বাড়ি থেকে পাওয়া হাতখরচের টাকা আমরা জমিয়ে রাখতাম। সেগুলির সমস্তটাই খুচরো পয়সা হত, এমনকী নোট পেলেও আমরা সেটা খুচরো পয়সায় ভাঙিয়ে নিতাম।’ এদিকে আবার বাড়ি যাওয়ার সময় ওই কিশোরের আবদার প্রথমে মানতে চাননি শো-রুমের কর্মচারীরা। পত্রপাঠ না করে দেন। জানিয়ে দেন, এত খুচরো পয়সা গুনে তাঁরা যশের দাবি ওই মুহূর্তে মানা যাবে না। পরে অবশ্য ওই কিশোরের পুরো কথা শোনার পর রাজি হয়ে যান তাঁরা। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে খুচরো পয়সাগুলি গোনার পর তাঁরা যশের হাতে স্কুটির চাবি তুলে দেন। যাতে সে ভাইফোঁটা উপলক্ষে নিজের দিদিকে সেটি উপহার দিতে পারে।
[সাঁড়াশি চাপে জাকির নায়েক, তাকে ফেরাতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ভারত]
ঘটনা প্রসঙ্গে শো-রুমের এক আধিকারিক বলেন, ‘আমরা অনেকসময়েই দেখি গ্রাহকরা গাড়ি কেনার জন্য খুচরো পয়সা নিয়ে আসে। কিন্তু এটি একটি আলাদা ঘটনা। যেখানে দু’জনেই পুরো টাকাটি খুচরোতে দিয়েছে।’