সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে ব্রহ্মপুত্রকে শুকিয়ে দিতে চিনের ছল চাতুরির শেষ নেই। অভিযোগ, চিনের হাতযশে এই গুরুত্বপূর্ণ নদীর জল কালো হয়ে গিয়েছে। চিনের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে নিশ্চিত হতে জল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হল হায়দরাবাদে।
[বিমানে ‘শ্লীলতাহানি’র শিকার, চোখে জল অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিমের]
অসমে ৮৯১ কিলোমিটার জুড়ে প্রবাহিত হয়েছে এই নদ। সম্প্রতি অসমের বিভিন্ন জায়গায় ব্রহ্মপুত্রের কালো এবং কাদা মেশানো জল দেখে নদীপাড়ের বাসিন্দারা অবাক হয়ে যান। তাঁদের থেকে খবর পেয়ে জলসম্পদ দপ্তর তদন্ত শুরু করে। রাজ্য সরকার ৯১টি জায়গা থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। নদী বিশেষজ্ঞদের অনুমান, চিন জিনজিয়াং প্রদেশে একটি টানেল তৈরি করছে। যার জেরে এই পরিস্থিতি। তবে চিন অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল জানান, হায়দরাবাদের ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল টেকনোলজির পাশাপাশি গুয়াহাটি আইআইটিতেও জল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে কেন জলের রং এমন কালচে? কারণ পরিষ্কার হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত মাসে চিনের এই মতলব সামনে এনেছিলেন অরুণাচল পূর্বের কংগ্রেস সাংসদ নিনং এরিং। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন ব্রহ্মপুত্রের জলের প্রকৃতি বদলেছে। এই নিয়ে এরিং চিঠিও লেখেন প্রধানমন্ত্রীকে। অবশেষে অসম সরকার নড়েচড়ে বসেছে। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য দপ্তর তদন্ত শুরু করেছে।
[ভারতকে চাপে ফেলতে ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ বদলাচ্ছে চিন]
বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন, চিন টানেল বানালে বিপাকে পড়বে ভারত ও বাংলাদেশ। তিব্বত থেকে শুষ্ক জিনজিয়াং প্রদেশে জল প্রবাহিত হলে কমবে ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর। যার জেরে ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। জল কমে যাওয়ায় কৃষিকাজ মার খাবে। শুধু তাই নয়, সুড়ঙ্গ থেকে জল ছাড়লে প্লাবিত হতে পারে নিচু জায়গাগুলি। একই অবস্থা হবে বাংলাদশেও। চিনা সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের খবর, তিব্বতের সাংরি অঞ্চল থেকে জিনজিয়াং প্রদশের তাকলামাকান মরুভূমি পর্যন্ত বানানো হবে ওই সুড়ঙ্গ। এর মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্রের জল চাষবাসের জন্য পৌঁছে দেওয়া হবে মরুভূমিতে। ২০১৮-এর মার্চ মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। চিনে তলে তলে সেই ছক শুরু করে দেওয়ায় অসম-সহ উত্তর পূর্বের চিন্তা বাড়ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.