Advertisement
Advertisement

Breaking News

উন্নাওয়ে ধর্ষণ করেছিল বিজেপি বিধায়ক, নিশ্চিত করল সিবিআই

চাকরি দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ।

CBI presses rape charge against Unnao lawmaker Kuldeep Singh Sengar

ফাইল ফটো

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 11, 2018 9:39 am
  • Updated:May 11, 2018 9:39 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উন্নাওয়ে তরুণীকে বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষণ করেছিল বিজেপি বিধায়ক। সে সময় তার মহিলা সঙ্গীই দরজার বাইরে প্রহরী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। উন্নাও কাণ্ডে এবার নির্যাতিতার অভিযোগকেই বৈধতা দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই।

[  ইংরেজদের বিরোধিতায় নোবেল বর্জন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, বিপ্লবের নয়া তত্ত্বে শোরগোল ]

Advertisement

ধর্ষণের অভিযোগ এনে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গায়ে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এক তরুণী। উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের সে ঘটনায় গোটা দেশে সাড়া পড়ে। অভিযোগ ছিল এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। যদিও প্রভাবশালীকে আড়াল করার চেষ্টাও কম হয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে। ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়েও এক সময় প্রায় বুক ফুলিয়ে গুরে বেড়াচ্ছিল অভিযুক্ত কুলদীপ সিং সেনেগার। পালটা ওই তরুণীর বাবার বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনা হয়। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন প্রৌঢ়ের মৃত্যুও হয়। সে সবই বিধায়ক ও তার ভাইয়ের অঙ্গুলিহেলনে হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও তা নিয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছিল না কেউই। গ্রামের কেউই টুঁ শব্দটি করেননি। তরুণী ও তাঁর পরিবারের উপরও বেদম চাপ সৃষ্টি করা হয়। যদিও তাতেও শেষরক্ষা হল না। বিজেপি বিধায়ক ধর্ষণ করেছিল বলেই জানিয়ে দিল সিবিআই।

Advertisement

[  সেনা জওয়ান ও তাঁদের পরিবারকে বিনামূল্যে পরিষেবা দেন এই চিকিৎসক ]

বিজেপি বিধায়ককে আড়াল করছে উন্নাও পুলিশ। এই অভিযোগে গোটে দেশ সরব হওয়ার পরই যোগী সরকার তদন্তভার তুলে দেয় সিবিআইয়ের হাতে। নিজের অভিযোগে বরাবরই স্থির ছিলেন নির্যাতিতা। তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানাল, উন্নাওয়ে গণধর্ষিতা হয়েছিলেন ওই তরুণী। চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রথমে তাঁকে বাড়িতে ডাকে বিধায়ক। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। সে সময় বাইরে প্রহরা দিয়েছিল বিধায়কের মহিলা সঙ্গী। ঘটনার আকস্মিকতায়, মানসিক যন্ত্রণায় একেবারে নির্বাক হয়ে গিয়েছিলেন তরুণী। কোনও কথা ফাঁস হলে বিপদ হবে, এই ভয়ও দেখানো হয়। এ ঘটনা ২০১৭ সালের ৪ জুনের। এরপর ১১ জুন ফের তরুণীকে ডাকা হয়। সে সময় তিনজন তরুণীকে অপহরণ করে। একটি এসইউভি গাড়িতে রাখা হয় তাকে। আর পালা করে ধর্ষণ করে ওই তিনজন। ১৯ জুন পর্যন্ত চলে এই নারকীয় কাণ্ড। ২০ জুন এফআইআর দায়ের করেন তরুণী।  চার্জশিটে এই তিন ধর্ষণকারীর নাম উল্লেখ করেছিল পুলিশ। বিধায়ক ও তার সঙ্গী সে সময় উপস্থিত ছিল না বলেই জানানো হয়। যদিও সিবিআই তদন্তে জানা গেল তা আংশিক সত্যি। কারণ ধর্ষণের শুরুটা করেছিল বিধায়কই। এই তথ্য সামনে আসার পর বিধায়কের পক্ষে আর সাফাই দেওয়ার কিছু নেই। এরপর ঘটনার গতিপ্রকৃতি কী হয় এখন তাই-ই দেখার।

[  ‘আমার মা অন্য অনেকের থেকে খাঁটি ভারতীয়’, বিজেপিকে জবাব রাহুলের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ