Advertisement
Advertisement

পার্কিংয়ে গলদ, এবার চণ্ডীগড়ে ঘুমন্ত কিশোর-সহ গাড়ি তুলে নিয়ে গেল পুলিশ

সাসপেন্ড অভিযুক্ত ২ পুলিশকর্মী।

Chandigarh cop tows car with 12-year-old still inside, suspended
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 18, 2017 2:49 pm
  • Updated:September 18, 2019 4:29 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  গত মাসের ঘটনা। সন্তানকে স্তন্যদান করার সময় জোর করে গাড়ি তুলে নিয়ে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিল মুম্বই পুলিশ। অভিযোগ উঠেছিল, নিজের সন্তানকে গাড়ির পিছনের সিটে বসে নিজের সন্তানকে স্তন্যপান করাচ্ছিলেন এক মহিলা। সেই সময়ই বেআইনি পার্কিংয়ে দোহাই দিয়ে গাড়িটি তুলে নিয়ে যান মুম্বই পুলিশের এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। ফের একই ঘটনা ঘটল। এবার চণ্ডীগড়ে। বেআইনি পার্কিংয়ের অভিযোগে একটি গাড়ি তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। কিন্তু, খেয়াল করল না, যে গাড়ির ভিতর ১২ বছরের একটি কিশোর ঘুমোচ্ছে! ঘটনায় অভিযুক্ত হেড কনস্টেবল ও হোমগার্ড ভলান্টিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে চণ্ডীগড় পুলিশ।

[সন্তানকে স্তন্যপান করানোর সময়েই জোর করে গাড়ি তুলে নিয়ে গেল পুলিশ]

Advertisement

কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? চণ্ডীগড়ে সেক্টর ৩৪-এর আপনি মাণ্ডি এলাকায় স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে এসেছিলেন মোহালির বাসিন্দা রাজেশ। স্বামী-স্ত্রী বাজার করতে গিয়েছিলেন। রাস্তার দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ঘুমোচ্ছিল তাঁদের ১২ বছরের ছেলে। অভিযোগ, ভুল জায়গায় পার্কি করার অভিযোগে ওই কিশোর-সহ গাড়িটি তুলে নিয়ে যায় কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। এদিকে বাজার থেকে ফিরে গাড়ি ও ছেলেকে না পেয়ে কার্যত দিশেহারা হয়ে যান রাজেশ ও তাঁর স্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে গাড়ি চুরি ও অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। গাড়িটির নম্বরটিও জানিয়ে দেন। গাড়িটির নম্বরটি কন্ট্রোল রুম থেকে আশেপাশের সবকটি থানাকে জানিয়ে দেওয়া হয়। তখনই ভুল ধরে পড়ে!

Advertisement

[ভোরবেলা ভয়াবহ আগুন দোকানে, ঘুমন্ত অবস্থাতেই পুড়ে মৃত ১২]

চণ্ডীগড়ের পুলিশ লাইনে ওই দম্পতিকে ডেকে পাঠিয়ে সন্তানকে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। সন্তানকে ফিরে পাওয়ার পর অবশ্য আর কোনও অভিযোগ দায়ের করতে চাননি রাজেশ ও তাঁর স্ত্রী। তবে স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই অভিযুক্ত হেড কনস্টেবল ও একজন হোমগার্ড ভলান্টিয়ারকে সাসপেন্ড করেছে চণ্ডীগড় পুলিশ। বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চণ্ডীগড়ের ডেপুটি পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রাজীব কুমার আমবাস্তা জানিয়েছেন, ‘আমরা দু’জন কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছি। তাঁদের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে।’

[ভারতে বসবাসকারী সকলেই হিন্দু, ফের বিতর্কিত মন্তব্য ভাগবতের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ