সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়ায় ফের মাওবাদীদের দাপট। নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর মাও অত্যাচার নতুন মাত্রা নিল। মাওবাদীদের ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে অস্বীকার করায় বহু গ্রামবাসীকে বেধড়ক মারধর করল উগ্রপন্থীরা। ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর অন্তত ১০।
[সুপ্রিম কোর্ট হাতের মুঠোয়, রাম মন্দির নিয়ে বিজেপি মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে]
ছত্তিশগড়ের সুকমা, দান্তেওয়াড়ার মতো জেলাগুলিতে এখনও মাওবাদীদের দাপট কায়েম। শুধু দাপট বললে ভুল হবে, এই এলাকাগুলিতে রীতিমতো সমান্তরাল শাসনব্যবস্থা চালু রেখেছে উগ্র বামপন্থীরা। সুকমা, দান্তেওয়াড়ার বিস্তির্ণ এলাকায় এখনও আইনের শাসন পুরোপুরি পৌঁছাতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরেই এই গ্রামগুলিতে ইচ্ছেমতো অরাজকতা চালাচ্ছে মাওবাদীরা। কিন্তু এবার যা ঘটল তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য।
[ভিড়ে মিশে ‘মুখোশধারী’, কাশ্মীরে প্রমাদ গুনছে পাথর নিক্ষেপকারীরা ]
মাও নেতারা বক্তব্য রাখবেন, তাই হাজির থাকতে হবে গ্রামবাসীদের, জঙ্গল লাগোয়া কয়েকটি গ্রামে এই ফরমান জারি করেছিল মাওবাদীরা। পুলিশ সুত্রের খবর, স্থানীয় কুয়াকোন্দা থানার অন্তর্গত ফুলপাড় গ্রামের জনা ৩৫ বাসিন্দা সেই ফরমান মানতে রাজি হননি। মাওবাদীদের ডাকা বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। আদেশ না মানায় ক্ষুব্ধ উগ্রপন্থী সংগঠনের নেতারা গ্রামবাসীদের তুলে নিয়ে যায়। গাছের সঙ্গে বেঁধে পাশবিক অত্যাচার করে ওই ৩৫ জনের উপর। তাঁরা প্রত্যেকেই জখম হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের আঘাত গুরুতর।
[মুক্তি পাবে রাজীব হত্যাকারীরা? রবিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তামিলনাড়ু]
দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার অভিষেক পল্লভ জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে ১৬ জনকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করানো হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে ভরতি করা হয়েছে দান্তেওয়াড়া জেলা হাসপাতালে। বাকি আহতরা নকশালদের ভয়ে পুলিশের সাহায্য নিতে চায়নি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই এলাকায় মাওবাদীদের দাপট থাকলেও গ্রামবাসীদের তারা সাধারণত মারধর করে না। কিন্তু সম্প্রতি কিছু নেতার গ্রেপ্তারি এবং পুলিশের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভের জেরেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে মাওবাদীরা। পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, খবর পাওয়ামাত্রই তিনটি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। যদিও, বেশিরভাগ গ্রামবাসীই পুলিশে অভিযোগ করতে রাজি হয়নি নকশালদের ভয়ে। মাত্র ৯ জন অভিযোগ করতে রাজি হয়েছেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।